রাজ্যব্যাপী জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলো শাসকদল তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এবার প্রায় ৩৫ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই জিতে নিয়েছে শাসক দল। বাকি ৬৫ শতাংশ আসনেও তাদের জয়জয়কার। সামগ্রিকভাবে মোট আসনের প্রায় ৮০থেকে ৯০শতাংশ আসন দখল করেছে তারা। ১০-২০ শতাংশ আসন বিরোধী দলগুলি ভাগাভাগি করে পেয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভাল ফল করেছে দেশের শাসকদল বিজেপি। এই প্রথম এই রাজ্যে এত ভাল ফল করলো বিজেপি। সন্ত্রাস না হলে তারা আরও ভাল ফল করতেন বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রাজ্যের দ্বিতীয়স্থান খুইয়ে এখন যথেষ্টই বিপাকে একসময়ের দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন দল বামফ্রন্ট। ক্ষমতা হারানোর মাত্র সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ তাদের একই দুর্দশা। বিজেপি-কে টেক্কা দিতেও তারা হিমসিম খেয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ রেজাল্ট করেছে কংগ্রেস। একসময়ের দুর্গ মুর্শিদাবাদেও হুমড়ি খেয়ে পড়েছে কংগ্রেস। রাজ্যজুড়ে সবুজ-ঝড়ে চুরমার হয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদের অধীর-মিথ।
ফল প্রকাশের পর অস্তিত্ব সঙ্কটে বাম আর কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, বামেদের সেই শক্তিশালী সংগঠন কোথায় গেল ? রাজ্যে সংগঠন বলে আদৌ কি কিছু আছে সর্বভারতীয় দল কংগ্রেসের ? তাহলে কি কংগ্রেসের অস্তিত্ব কি এখন শুধুই সাইনবোর্ডে ?
উল্লেখ্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৪৮৬৫০ আসনের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ৩১৮২৭টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে শাসকদল পেয়েছে ২৫২০০টি পঞ্চায়েত। বিজেপি দখল করেছে ৩৫৪০টি পঞ্চায়েত। বামফ্রন্ট পেয়েছে ১২২৫টি পঞ্চায়েত আর কংগ্রেস ৬০১টি পঞ্চায়েতের শাসনভার পেয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দলগুলি মিলিয়ে ১২০৩টি পঞ্চায়েতের দখল নিতে পেরেছে।
Category – Political
Facebook Comments