পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হলো। শুক্রবার বিকালে দিল্লির স্মৃতিস্থলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নমিতা কৌল ভট্টাচার্য মুখাগ্নি করেন। স্মৃতিস্থলে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দেশের তিন বাহিনীর প্রধান। শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ অন্য মন্ত্রীরা। শ্রদ্ধা জানান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। সেনাবহিনীর তরফে দেওয়া হয় ‘গান-স্যালুট’।
গতকাল বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। আজ সকালে কৃষ্ণ মেনন মার্গে বাজপেয়ীর বাসভবনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রী ও সমাজের বিভিন্ন মহলের মানুষ। শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। পরে বিজেপির সদর দফতর দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শেষবার দেখা জন্য ভীড় জমান অসংখ্য মানুষ। সেখান থেকে বাজপেয়ির মরদেহ স্মৃতিস্থলে নিয়ে আসা হয়। প্রিয় নেতাকে শেষবারের জন্য দেখার আর্তি নিয়ে লাখো মানুষ নেমে পড়েন রাজধানীর পথে। শোকযাত্রা তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিল তিন সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা। সেনা জওয়ানদের পাশাপাশি রাজধানীতে মোতায়েন করা হয় দিল্লি পুলিশের দুই হাজার কর্মীকে। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, অনন্তকুমার, সুরেশ প্রভু, যোগী আদিত্যনাথ, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে সহ বিজেপি শীর্ষনেতারা। দলমত নির্বিশেষে বিরোধী রাজনাতিক দলের প্রতিনিধিরাও হাজির হন।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। সারা দেশে অর্ধনমিত রাখা হয়েছে জাতীয় পতাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যমুনার নদীর ধারে শান্তিবন ও বিজয়ঘাটের মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থিত এই স্মৃতিস্থল। ২০০২ সালে যমুনার ধারে এই স্মৃতিস্থলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরালেরও শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। রাজঘাটের কাছে তাঁর সমাধিস্থলে একটি স্মৃতিস্মারকও তৈরি করা হবে।
ছবি সৌজন্যেঃ ভারতীয় জনতা পার্টি ফেসবুক
Facebook Comments