পেট্রোল এবং ডিজেলের আকাশ ছোঁয়া দামনিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন দেশবাসী। পাশাপাশি মার্কিন ডলার পিছু কমতে থাকা টাকার দামসেই সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলেছে কয়েক গুণে।এরকম অবস্থায় পেট্রোল ডিজেলের ওপর থেকে কেন্দ্রের আবগারি শুল্ক যে কমানো হবেনা অদূর ভবিষ্যতে, সে ব্যাপারেও প্রায় নিশ্চিতরাজনীতি-অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। এমন সময়েরাজ্য জুড়ে পেট্রোল-ডিজেলে লিটার প্রতি একটাকা কমানোর ঘোষণা নিঃসন্দেহে একটু হলেও স্বস্তিদায়ক।
মঙ্গলবার দুপুরে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের ওপরথেকে বোঝা কমাতে ডিজেল এবং পেট্রোল উভয়ের দামেই লিটার প্রতি ১ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
পরিসংখ্যান উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “২০১৬-র সেপ্টেম্বর থেকে ন’বার পেট্রোল এবং ডিজেলের ওপর এক্সাইজ ডিউটি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ২০১৬-র জানুয়ারিতে লিটারপিছু পেট্রোলের দাম ছিল ৬৫ টাকা ১২ পয়সা।২০১৮-র সেপ্টেম্বরে লিটার পিছু পেট্রোলের দামএসে ঠেকেছে ৮১ টাকা ৬০ পয়সায়। একইভাবে দাম ঊর্ধ্বমুখী ডিজেলের। ২০১৬-রজানুয়ারিতে ১ লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৪৮টাকা ৮০ পয়সা। সেটাই ক্রমশ বেড়ে এখনলিটার পিছু ডিজেলের দাম এসে দাঁড়িয়েছে ৭৩টাকা ২৬ পয়সায়। রাজ্যের মাথায় ৪৮,০০০কোটি টাকার ঋণের বোঝা থাকা সত্ত্বেও এইসময়ে রাজ্য সরকার সেলস ট্যাক্স ও সেস এক পয়সাও বাড়ায়নি।”
কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে কেন্দ ্রদেশের সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। একদিকে যেমন অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে কেন্দ্রের আরোপ করা ও বাড়ছে। এক সঙ্গে দুটো চলতে দেওয়া যায় না।”
Facebook Comments