গ্যাজেট ওয়ার্ল্ডের সেলেব অাইফোন। তার শুভারম্ভ ঘিরে গুজব রটবে না, তা হয়? দাম, নাম সঙ্গে ফিচার, সব কিছু নিয়ে গুজবের ভীড়।
কাল অ্যাপেল ইভেন্ট। আর তার প্রাক্কালে গুজবের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে ইচ্ছুক গ্রাহক, কারওরই আসন্ন আইফোন নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। বেড়েই চেলেছে ভিত্তিহীন সেই সব অনিশ্চিত ফিচার তালিকা। তবে আইফোনের দাম নিয়ে চিরকাল উত্তেজিত থাকে গ্যাজেট ওয়ার্ল্ড। এবারের গুজব, দাম কমবে নতুন আইফোনের। তবে এসব গুজবকে আসকারা দেয়নি অ্যাপেল।
লঞ্চের আগে দেখে নেওয়া যাক কি কি আশা করা হচ্ছে।
প্রথমেই আসা যাক দাম সংক্রান্ত বিষয়ে, কমবে না বরং আরও বেশি দাম হবে আপকামিং মডেলের। কদিন ধরেই রব উঠেছে অ্যাপেল নাকি দাম কমিয়ে বিক্রি করবে তার আগামী আইফোনের মডেল। তবে সে তথ্য আপাতত নিতান্তই গুজবের পর্যায়েই আছে। কারণ এ বিষয়ে কোম্পানি মুখ খোলেনি। গ্যাজেট বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাপেল কখনই প্রোডাক্টের সঙ্গে আপোস করে না। সেক্ষেত্রে এলসিডি ডিসপ্লে থাকবে বলে ফোনটির দাম কম হবে এমনটা নয়।
সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে নতুন মডেলের সমস্ত ফোন। এমনই গুজব ছড়িয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কিন্তু iPhone SE ফোনটির ক্ষেত্রে নিজের পথেই হেঁটেছে অ্যাপেল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অ্যাপেল কোনো দিনই আর পাঁচটা কোম্পানির মত কম দামে ফোন নিয়ে এসে গড় ব্যবসায় মাথা গলানোর চেষ্টা করে নি। কিন্তু দাম কমিয়ে গুণগতমানে আপোষ করলে ব্যবসা করতে কতটা সক্ষম হবে তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে । ইতিমধ্যে জানা গেছে আপকামিং ফোনে থাকবে না থ্রিডি টাচের মত একাধিক ফিচারও। তাহলে কি শুধুই ব্র্যান্ড ভ্যালু নাকি আরও নতুন কিছু ফিচার নিয়ে আসছে অ্যাপেল এই সব কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলবে ১২ সেপ্টেম্বর। জানতে হলে চোখ রাখুন অ্যাপেল ইভেন্টে। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, দামও নাকি কম হবে তুলনামূলকভাবে। তাহলে কি গুণগত মান কমতে অ্যাপেলের ফোনের?
এবার আসা যাক ফিচার সংক্রান্ত বিষয়ে, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যান, ফেস আনলক, তো রয়েছে। দিন কয়েক ধরে নতুন ফিচার হানা দিয়েছে গ্যাজেট ওয়ার্ল্ডে। তা হল স্ক্রিনের মধ্যে থাকবে ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার।
এবার সেই তালিকায় মাথা গলাচ্ছে অ্যাপেলও। তাদের আসন্ন ফোনে থাকতে পারে ডিসপ্লের মধ্যে টাচ আইডি। অর্থাৎ বায়োমেট্রিক সেন্সর থাকবে ফোনটিতে। ডিসপ্লের নিচে ব্যবহার করা হবে ক্যামেরা, যা বিশ্লেষণ করবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট।
ক্যামেরা আঙুলের ছাপ নিয়ে বিশ্লেষণ করে একটি থ্রিডি ইমেজ বানাবে। সেটিংসের প্রথমেই বিভিন্ন দিক থেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে আনলক সেটিংস করে রাখতে হবে। এই প্রযুক্তি দ্বারা কাজ খুবই দ্রুত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে অ্যাপেল।
এছাড়া আশা করা হচ্ছে ৬৪, ২৫৬, ৫১২ জিবি স্টোরেজের মডেল থাকবে আপকামিং আইফোনে এমনটাই জানিয়েছে এই রিসার্চ সংস্থা। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে আগাম বুকিংয়ের জন্য রেজিস্টার করা যাবে বলেও জানা গিয়েছে জার্মানির এক সাইটে প্রকাশ হওয়া প্রতিবেদন থেকে। একই সঙ্গে জানা গেছে, ফোনটি কিনতে পারা যাবে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে।
আরও পড়ুন: পেটিএম মাধ্যমে বিনিয়োগ করুন মিউচিউয়াল ফান্ডে
এ বছর তিনটি iPhone লঞ্চ করতে চলেছে অ্যাপেল। LCD ডিসপ্লে সহ এই ফোনগুলির দাম থাকবে সাধ্যের মধ্যে। মিং চি কুও জানান তিনটি ফোনের মধ্যে একটিতে ৬.১ ইঞ্চির স্ক্রিনের LCD প্যানেল সহ থাকবে নচ ডিজাইনের ডিসপ্লে। গত বছর iPhone X দিয়ে প্রথম বাজারে অ্যাপেল লঞ্চ করেছিল বহু আলোচিত এই ডিজাইন। পাশাপাশি iPhone X এর দ্বিতীয় জেনারেশন এবং iPhone X Plus লঞ্চ করতে চলেছে অ্যাপেল। iPhone X Plus ফোনটিতে ৫.৮ এবং ৬.৫৫ ইঞ্চির ডিসপ্লে রয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে ক্যামেরা থাকবে ১টি। ৪ জিবি র্যাম এবং ফেস আইডি ফিচার থাকবে ফোনটিতে। ৩জিবি র্যাম, ফেসআইডি ফিচার ও ডুয়াল সিমের iPhone 8 ভালো বাজার করেছে গত বছর।
তিনটি নতুন iPhone এর দুটিতে OLED ডিসপ্লে থাকবে। এবার এক রিপোর্টে এই দুই OLED ডিসপ্লের iPhone XS আর Apple Watch Series 4-এর ছবি 9to5Mac ওয়েবসাইটে। তাতে দেখা গেছে গোল্ডেন কালারের দুটি ফোন। তবে এই রিপোর্টে কম দামের ৬.১ ইঞ্চি LCD ডিসপ্লের হদিস মেলেনি। তবে ডিসপ্লের সাইজ যে বেশ বড় তার আন্দাজ মিলেছে। ফোনটি A12 চিপসেট এবং A11 বায়োনিক চিপ দ্বারা চালিত হবে।
ফিচার কি হবে বা নাম কি হবে তা নিয়ে মতমতের অন্ত নেই। এখন আবার রব উঠেছে ফোনটি নাম নাকি হতে পারে ‘iPhone Xs Max’। ১২ সেপ্টেম্বর লঞ্চ হবে অ্যাপেলের একাধিক ডিভাইস।
এখন কালই সমস্ত জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটবে। অ্যাপেল ইভেন্ট দেখতে দেখুন অ্যাপেল টিভি অ্যাপ অথবা https://www.apple.com/apple-events/september-2018/ এই ওয়েবসাইটে।
Facebook Comments