সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমান এক হাজার ৪৩৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪০ মন্ত্রণালয়ের কাছে পাওনা ৬৬৮ কোটি টাকা। আধা-সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছে বকেয়া আছে ৭৬৬ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার সরকারদলীয় সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে বিদুৎ জালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বকেয়া ৬৪ কোটি টাকা বকেয়া আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে ২৪ কোটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ২০ লাখ, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ২২ কোটি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আট কোটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২১ কোটি, স্থানীয় সরকার বিভাগে ৩৬ কোটি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে ১৬ কোটি, নির্বাচন কমিশনে আট কোটি, অর্থ বিভাগে ১০ কোটি, মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তিন কোটি, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ৪৪ কোটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ৫২ কোটি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ৪৬ কোটি, তথ্য মন্ত্রণালয়ে ছয় কোটি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ১১ কোটি, ভ’মি মন্ত্রণালয়ে আট কোটি, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নয় কোটি, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে সাত কোটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ১৩ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১২ কোটি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ১২ কোটি, প্ল্যানিং কমিশনে ১১ কোটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয় মন্ত্রণালয়ে দুই কোটি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৫৭ কোটি, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে দুই কোটি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চার কোটি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দুই কোটি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চার কোটি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চার কোটি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ৬০ লাখ, এছাড়া পাট ও বস্ত্র, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), বিজ্ঞান তথ্য ও প্রযুক্তি, শিল্প, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আরও প্রায় দুই কোটি টাকা বকেয় রয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর তথ্যে সরকরি প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ করলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যার বকেয়া বিদুৎ বিল রেখেছে তাদের নামের তালিকা দেয়া হয়নি।
শতভাগ বিদ্যুতায়ন এই বছরের মধ্যেই
জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একমাত্র বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে বিদ্যুতায়নের কাজ করেছি। এখন পর্যন্ত শতকরা ৯২ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছি, বাকিটাও দ্রতই শেষ করা যাবে। আমাদের টার্গেট ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা।
এরজন্য আর দুই মাস লাগবে। তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, যতদ্রত সম্ভব কাছাকাছি চলে যাব। আমাদের প্রতিটি এলাকায় খাল, বিল অতিক্রম করে নতুন ট্রান্সফর্মা, মাইলকে মাইল তার টেনে নতুন গ্রিড লাইন করে সীমিত অর্থের মধ্যে কাজ করাটা খুবই চ্যালেঞ্জ।
আগামীতে আমরা চাইবো বিদ্যুৎ খাতে অর্থ বেগবান করার জন্য অর্থমন্ত্রী আন্তরিক হবেন। এজন্য সকল এমপিকে একত্রিতভাবে কাজ করতে হবে।
Facebook Comments