মি টু নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। নামের ঢেউ সামলে ওঠার আগেই আবার সামনে চলে আসছে নতুন নাম। সুভাষ ঘাইয়ের যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ্যে আসর পর এবার সাংবাদিক বিনোদ দুয়ার পালা। তথ্যচিত্র পরিচালক নিষ্ঠা জৈন রবিবার ফেসবুকে #MeToo দিয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন সাংবাদিক বিনোদ দুয়ার বিরুদ্ধে। আর এই নাম সামনে আসতেই ভারতীয় মিডিয়া, ফিল্ম ও বিনোদন জগত ফের তোলপাড়। বিনোদ দুয়া, দ্য ওয়ারের কনসাল্টিং এডিটর এবং তিনি ‘জন গণ মন কি বাত’ নামে একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালকও বটে। ৫ অক্টোবর তাঁর অনুষ্ঠানের বিষয় ছিল ”#MeToo মুভমেন্টের কারণেই মহিলারা কর্মক্ষেত্রে তাদের লাঞ্ছিত ও নিপীড়িত হওয়ার কাহিনি বলে অপরাধীদের প্রকাশ্যে আনতে পারছেন”। আর এরপরই খোদ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার
অভিযোগ। বিনোদ দুয়া এদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে বলেন, ”আমি আমার আইনজীবী ও সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করছি এবং আজ বা আগামীকাল এ বিষয়ে বিবৃতি দেব”। পরে একটি বিবৃতিতে দ্য ওয়ারের ফাউন্ডিং এডিটর বলেন, ”আমরা নিষ্ঠা জৈনের ফেসবুক পোস্টটি দেখেছি যেখানে ১৯৮৯ সালে যৌন হেনস্থার ঘটনার জন্য তিনি আমাদের কনসাল্টিং এডিটর বিনোদ দুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তবে বিনোদ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যদিও ঘটনাটা ২৬ বছর আগের তবু, যেহেতু পোস্টে দ্য ওয়ারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাই ICC এই বিষয়টা খতিয়ে দেখবে। তদন্ত করে তাঁরা কী বলেন, সে জন্য অপেক্ষায় রয়েছি”।
বিনোদের কথা অনুযায়ী, প্রথম ঘটনাটা ঘটে ১৯৮৯ সালের জুনে। যখন চাকরির প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন নিষ্ঠা । নিষ্ঠা লেখেন, ”ভীষণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমি ইন্টারভিউ দিতে যাই। জনবাণীর মতো বিখ্যাত শোয়ের সঞ্চালক তথা জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্বের সামনে ইন্টারভিউ দেব, এ কথা ভেবেই নিজেকে সাহস যোগাচ্ছিলাম। কিন্তু ধাতস্থ হওয়ার আগেই তিনি যৌনতা সংক্রান্ত ঠাট্টা করতে শুরু করেন”। ১৯৮৯এর সাক্ষাৎকারের কয়েক মাস পর ভিডিও এডিটর হিসেবে নিউজট্র্যাকে কাজ পেয়েছিলেন বলে জানান জৈন। নিউজট্র্যাক হল ইন্ডিয়া টু ডে-র ভিডিও নিউড ম্যাগাজিন। নিষ্ঠা বলেন, ”আমার কাজ শেষ করতে সেদিন দেরি হয়েছিল এবং যখন আমি অফিসের এফ ব্লক ছেড়ে বেরোচ্ছি দেখি উনি বাইরে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। উনি আমায় স্টক করছিলেন। মোবাইল ফোনের যুগের আগের ঘটনা এটা- তিনি কী করে জানলেন আমি রাত পর্যন্ত কাজ করব যদি আমার শিডিউল সম্পর্কে অফিসের কাউকে না জিজ্ঞেস করে থাকেন”?
Facebook Comments