বাঁচাতে হবে সমুদ্র সৈকত, বাঁচাতে হবে লাল কাঁকড়া এই বার্তাকে সামনে রেখে পরিবেশ রক্ষার অভিযানে নামলেন ২০ জন অভিযাত্রী। সমুদ্র সৈকতকে দূষণ বিশেষ করে প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার বার্তা এবং লাল কাঁকড়াকে রক্ষার বার্তা দিতে পরিবেশ সচেতনতা মূলক অভিযানে নামলো মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এই উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদা থেকে ড.মৌসম মজুদারের নেতৃত্বে ২০ সদস্যদের একটি অভিযাত্রী দল ওডিশার চাঁদিপুরের উদ্দেশ্য রওনা হয়। এঁদের লক্ষ্য সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষার সচেতনতা মূলক বার্তা দিতে দিতে ওডিশার চাঁদিপুর থেকে পশ্চিম বাংলার দীঘা পর্যন্ত উপকূল বরাবর পায়ে হেঁটে ১০৭ কিমি পথ অতিক্রম করা। শুক্রবার সকালেই চাঁদিপুর থেকে দীঘা-শঙ্করপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন অভিযাত্রীরা।
অভিযাত্রীদের বক্তব্য, বঙ্গোপসাগরের বাংলা ও ওড়িশার সৈকতগুলি থেকে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে লাল কাঁকড়া। পাশাপাশি সাগর কুসুম, অলিভ রিডলের মতো অনেক সামুদ্রিক প্রাণীর জীবন আজ বিপন্ন। এছাড়াও কয়েক বছর আগে আতলান্তিক মহাসাগরের মারা যাওয়া ১১ টি তিমির মৃত্যুর কারণ ছিল তিমিগুলির বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক ভক্ষণ। যেটা ময়না তদন্তের পর গোটা পৃথিবীর সামনে এসেছিল। প্লাস্টিক যেমন সৈকতকে ধ্বংস করছে তেমনই বাইক রাইডিং ও প্লাস্টিকজাত সামগ্রীর কারণে বিভিন্ন হচ্ছে সমুদ্র সৈকতে পরিবেশ রক্ষার বন্ধু তথা সৈকতের অন্যতম সৌন্দর্য লাল কাঁকড়া। পাঁচদিনের এই অভিযানে সামুদ্রিক দূষণ ও প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা নিয়ে উপকূলের বাসিন্দা, মৎস্যজীবী ও পর্যটকদের বোঝাবার চেষ্টা করা হবে অভিযাত্রী দলের পক্ষ থেকে।
কুইজ কেন্দ্রের সম্পাদক মৌসম মজুমদার জানান, ‘লাল কাঁকড়া সৈকত গঠনে সাহায্য করে, প্রাকৃতিক দুর্যোগেরও আগাম আভাস দেয়, কিন্তু সৈকত এলাকায় ছড়িয়ে থাকা প্লাস্টিকে এদের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। একমাত্র সচেতনতা গড়ে তুলেই এদের রক্ষা করা সম্ভব’। ২০ সদস্যের এই দলটিতে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। মৌসম মজুমদার ছাড়াও এই দলে রয়েছেন ভাস্করব্রত পতি, সুজন বেরা, অমল মাইতি, দুর্গাপদ মাসান্ত, মণিকাঞ্চন রায়, সুভাষ জানা, অরুণ সাউ, অলক গাঁতাইত, রুহুল আমিন, জয়দেব মন্ডল, কালীচরণ দাস, রবীন হেমরম, বিদেশ দুয়ারি, অভিজিৎ মান্না, হিরণ্ময় ধাড়া, সহ অন্যান্যরা। সংগঠন সূত্রে খবর ইতিমধ্যে অভিযাত্রীরা ভাল সাড়া পাচ্ছেন উপকূলের বাসিন্দা ও পর্যটকদের কাছ থেকে।
ছবি সৌজন্যে – মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি
Facebook Comments