আমেরিকার কথিত সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান, ইরাক এবং পাকিস্তানে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকায় টুইন টাওয়ারে হামলার পর মার্কিন সরকার সন্ত্রাস দমনের নামে যেসব হামলা চালানো হয়েছে তাতে এ সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে পার্সটুডে।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটি’স ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের করা এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯/১১ এর পর থেকে এই নিহতের সংখ্যা ৪ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৭ হাজারের মধ্যে রয়েছে। নিহতের এই সংখ্যা আসল সংখ্যা থেকে কম ধরা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে রিপোর্টিংয়ের সীমাবদ্ধতা এবং যুদ্ধে হত্যার সংখ্যা গণনায় অনিশ্চয়তাকে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়েছে, শুধু ইরাকেই এক লাখ ৮২ হাজার দুইশ’ ৭২ জন থেকে ২ লাখ ৪ হাজার পাঁচ’শ ৭৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
এছাড়া আফগানিস্তানে ৩৮ হাজার ৪’শ ৮০ জন এবং পাকিস্তানে ২৩ হাজার ৩’শ ৭২ জন বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি এ যুদ্ধে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাত হাজার সেনা ইরাক ও আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন।
এছাড়া নিহতদের তালিকায় রয়েছে স্থানীয় সশস্ত্র যোদ্ধা, স্থানীয় পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশগুলোর সেনারা।
তবে যারা সরাসরি যুদ্ধে মারা যাননি, তবে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খারাপ পরিস্থিতিতে মারা গেছেন, তাদেরকে এই সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি। তাদেরকেও এই সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত করা হলে এই সংখ্যা কয়েক গুণ হতো বলে মনে করা হচ্ছে।
Facebook Comments