জমজমাট কুইজ আর মনোগ্রাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জমে উঠলো দাঁতন থানা প্রাঙ্গণ। আলোর উৎসবে অভিনব কুইজের আসরে মেতে উঠলেন কয়েক হাজার সংস্কৃতিপ্রেমী আবালবৃদ্ধবণিতা। ৭৫ টি দল, ১৫০ জন কুইজার্ড, কয়েক হাজার দর্শক-শ্রোতা, সবমিলিয়ে দাঁতন থানার সুসজ্জিত মঞ্চে ২০১৮ সালের দীপাবলি হয়ে উঠল উজ্জ্বল আলোকময়, বর্ণময়, ছন্দময় এবং জমজমাট কুইজময়। এই মহা সমারোহে দক্ষতার সাথে মঞ্চ পরিচালনা করলেন বিশিষ্ট কুইজমাস্টার তথা গবেষক সন্তু জানা। তাঁর অনবদ্য সঞ্চালনায় প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে জ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আঙ্গিকে বহু নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন অসংখ্য কুইজপ্রেমী মানুষজন । মঞ্চের একেবারে মুখোমুখি তৈরি হলো ‘মহাগুরু’ বেঞ্চ। কুইজ সার্কিটে এই প্রথমবার এই অভিনব আয়োজন উপস্থাপিত হল। উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক শিল্পী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদ অন্যান্য গুণীজনরা। হাজির ছিলেন সূর্য নন্দী, অতনুনন্দন মাইতি, অবন্তী জানা, অখিলবন্ধু মহাপাত্র, অরবিন্দ দাস, শৈলেশ পট্টনায়েক, বিরুপাক্ষ পন্ডা ও চন্দ্রচূড় লাহিড়ি প্রমুখ। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা কুইজের অঙ্গ হয়ে রইলেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডিএসপি সমীর অধিকারী এবং আরো অন্যান্য বহু গুনীজন।
এই মহাযজ্ঞকে সুচারুভাবে পরিচালনা করেছেন কুইজ এক্সপার্ট অর্পন শীট, সৌমেন পাত্র, রাহাত আহমেদ খান, পবিত্র পাত্র, ঝন্টু দাস, শক্তিপদ প্রামানিক, উজ্জ্বল ভূঞ্জ্যা, অনিমেষ বেরা, সুমিত ঘোষ প্রমুখ। মোট ছয়টি টিম মূল মঞ্চে আসে এবং শুরু হয় ছকবাঁধা নিয়মের বাইরে গিয়ে বিশেষ কুইজ আকর্ষণ।প্রথাগত কুইজকে পেছনে ফেলে অডিও-ভিজ্যুয়াল ছাড়াও মঞ্চে ছিল নৃত্যশৈলী, সঙ্গীত, গিটার এবং কবিতার হিন্দোল। ছিলেন দাঁতনের বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী তটিনী পাল, বিশিষ্ট গায়িকা জবা হেমরম, হাওয়াইন গিটারবাদক দেবার্ঘ্য ঘোষ, বাচিক শিল্পী শ্রেয়া পাহাড়ি এবং নৃত্যশিল্পী বনস্মিতা জানা প্রমুখ। এই অসাধারণ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশেষভাবে কৃতিত্ব প্রাপ্য দাঁতন থানার আইসি সুব্রত মজুমদারের। দীপাবলিকে কেন্দ্র করে দাঁতন থানার প্রাণবন্ত উদ্যোগ ছিল সত্যিই অনন্য।
ছবি – দাঁতন থানার সৌজন্যে
Facebook Comments