মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সূচনা হলো বর্ষব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের শ্যামচাঁদপুর সীতারাম বিদ্যামন্দিরের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ উৎসবের সূচনা হলো বৃহস্পতিবার। এদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, শঙ্খধ্বনি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে বর্ষব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের সূচনা হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় রামদাস রামানুজদাস মহন্তের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। পাশাপাশি এদিন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। স্বাগত ভাষণ দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা সম্পাদক গৌর মাল। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি দীপক কুমার মল্লিক, বিদ্যালয়ের প্রথম পরিচালন সমিতির সদস্য কানাইলাল পাত্র ও কমলাকান্ত দত্ত, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সাধন চন্দ্র কয়োড়ী, বিশিষ্ট সমাজসেবী অজিত নন্দী, বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীবৃন্দ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। উল্লেখ্য বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালের ২৩ নভেম্বর প্রতিষ্ঠা হয়। এদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য সহযোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র পয়ড়্যা।
এদিনের অনুষ্ঠানে সাধন চন্দ্র কয়োড়ী ও কমলাকান্ত দত্ত তাঁদের বক্তব্যে বিদ্যালয়ের ইতিহাস তুলে ধরেন। এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষক ঝাড়েশ্বর ঘোষ, রামকৃষ্ণ মন্ডল, জাহ্নবী ঘোষ, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, তপন রণজিৎ প্রমুখ। সঙ্গীত ও নৃত্যে উপস্থিত সকলের মন জয় করে নেয়। বিদ্যালয়ের ছাত্রী রিম্পা গুঁই, পর্ণা মন্ডল, স্বাতী পালুই, রিয়া রম, লক্ষ্মী সামন্ত, প্রিয়াঙ্কা রানা সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানের শেষে লগ্নে মনোজ্ঞ সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সবার হৃদয় জিতলেন প্রাক্তন ছাত্র সন্তু গুঁই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌর মাল জানান, সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের উদ্যোগে নানা ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক, সমাজসেবা বিষয়ক ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের সূচনা লগ্নে পঞ্চাশ বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে এদিন পঞ্চাশটি করে প্রদীপ ও মোমবাতি প্রজ্বলনের সাথে সাথে পঞ্চাশটি শঙ্খ নিয়ে শঙ্খধ্বনি করেন বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।
ছবি সৌজন্যেঃ সীতারাম বিদ্যামন্দির
Facebook Comments