১৯২৮ সালে তলিয়ে গিয়েছিল সেই জলযান। গত নয় দশকে তাকে নিয়ে পল্লবিত হয়েছে কাহিনির পরে কাহিনি। তল্লাশ চলেছে জোর কদমে। কিন্তু তার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ‘টাইটানিক’-এর মতো ‘মানাসু’ নামে এই জাহাজটিও ছিল ব্রিটিশ। কানাডার লেক হিউরনে এক ঝড়ের মুখে পড়ে তলিয়ে যায় ‘মানাসু’। প্রাণ হারান ১৬ জন যাত্রী। শোনা যায়, এই জাহাজে বেশ কিছু দামি সামগ্রীও ছিল। ভারতীয় গণমাধ্যম এবেলার একটি প্রতিবেদনে এমন খবর পাওয়া গেছে।
নৌ-চলাচলের ইতিহাস বিশেষজ্ঞ ক্রিস কোহ্ল জানিয়েছেন, ১৯২৮ সালের আগে ‘মানাসু’ চলাচল করত লেক অন্টারিওতে। সেই বছর তার মালিকানা বদল ঘটে। নতুন মালিক সেটিকে লেক হিউরনে নিয়ে যান। সেই সঙ্গে বদলে দেওয়া হয় জাহাজটির নামও।
আগে তার নাম ছিল ‘মাকাসা’, পরে নামকরণ হয় ‘মানাসু’। কোহ্লের মতে, জাহাজিদের একাংশ বিশ্বাস করেন, জাহাজের নাম বদলালে তা দুর্ভাগ্য ডেকে আনে। ‘মানাসু’-র ক্ষেত্রে এই সংস্কার আক্ষরিক অর্থেই সত্য হয়ে ওঠে।
গত ৯০ বছর ধরে খোঁজ চলেছে ‘মানাসু’-র। কিন্তু ১৮৮৮ সালে গ্লাসগোয় তৈরি এই জাহাজের সন্ধান মেলেনি। সম্প্রতি এই জাহাজকে অন্টারিওর গ্রিফিথ আইল্যান্ডের কাছে ২০০ ফুট জলের গভীরে আবিষ্কার করলেন কোহ্ল এবং তাঁর সহযোগী কেন মেরিম্যান এবং জেরি এলিয়াসন।
জানা গিয়্ছে, ডুবে থাকা ‘মানাসু’-তে কোনও মানুষ বা প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি। কিন্তু জাহাজের ডেক-এ রাখা ১৯২৭ সালের এক শেভ্রলে গাড়িকে পাওয়া গিয়েছে যথাস্থানেই। জাহাজ ভর্তি ছিল গবাদি পশুতে। এই পশুগুলির মালিক ডোনাল্ড ওয়ালেসই ছিলেন এই গাড়ির মালিক। তিনি অবশ্য বেঁচে যান এই দুর্ঘটনায়।
ডুবে থাকা জাহাজের ডেকে গাড়ি— খুবই বিরল এই ঘটনা, এমনটাই জানাচ্ছেন কোহ্ল ও তাঁর সহকারীরা। তবে জাহাজের ভগ্নাবশেষে কোনও মানুষ অথবা প্রাণীর দেহাবশেষ না পাওয়াটা রীতিমতো রহস্যজনক, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
Facebook Comments