৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে এবার রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতা বললেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি, পারলে একজনকে খুঁজে দেখান! আমার দল আপনাদের দলের মতো চুরি করে না।’ প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে দৃশ্যতই ক্রুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, এমন মন্তব্য ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘বেআইনি’। তিনি বলেন, ‘আপনার লজ্জা করে না? আবার বড় বড় কথা! উনি নাকি সংবিধানের রক্ষাকর্তা! গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা! একটা সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও রোজ রোজ ওই পদের সম্মান নষ্ট করছে। শুনুন এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী, আপনার একদিনও প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার কোনো অধিকার নেই!’
প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে মোদী বলেন, ‘দিদি, ২৩ মে চারদিকে শুধু পদ্মফুল ফুটবে। আর আপনার দলের বিধায়করা সব দল ছেড়ে পালাবে! দিদি, আপনি শুনুন, এমনকি আজও, আপনার দলের ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্রমাগত নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া মডেল কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করছেন, এই অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি চিঠি লিখল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয় যে, ঘোড়া কেনাবেচায় উৎসাহ দিয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী এবং বিভিন্ন মিথ্যে কথা বলে ভোটারদের ভুলপথে চালিত করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়ান একটি চিঠি লিখে সেটি সোমবার নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেন। সেখানে লেখা হয়, প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন বিধায়ক তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
ডেরেক জানান, তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে, এমন কাজ বা এমন দাবি একজন প্রধানমন্ত্রী কখনোই করতে পারেন না।
ওই চিঠিতে তৃণমূল বলে, তিনি রীতিমত ভোটারদের উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বহু বিধায়ক তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন- এই দাবি করার মধ্যে ভোটারদের ভুলপথে চালিত করার উদ্দেশ্যটি স্পষ্ট। আমরা এই ধরনের প্রচারের বিরুদ্ধে কঠোরতম ভাষায় প্রতিবাদ করি। নির্বাচন সংক্রান্ত ঘোড়া কেনাবেচার ক্ষেত্রেও এই ধরনের মন্তব্য প্রবল উস্কানি দেয় বলে মনে করছি আমরা।
নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূল জানায়, তারা চায় এই অযৌক্তিক প্রচারপদ্ধতির ও প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
Facebook Comments