ইরানে বিরুদ্ধে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। একটি প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইরানে এক লাখ ২০ হাজার সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়ছে বিপুল সংখ্যক সেনা মধ্যপ্রাচ্যে পাঠালে ইরান তাদের ওপর আক্রমণ করতে পারে অথবা এসব কাজে পরমাণু অস্ত্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনিক দফতর থেকে এক কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের উচ্চ নিরাপত্তা সহায়কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্তমন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান পরিকল্পনার বিষয়টি আলোচনায় উপস্থাপন করেন।
তবে এ বিষয়টি তাৎক্ষণিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স নিশ্চিত করতে পারেনি।
বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউসের কাছে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে পেন্টাগন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে প্রভাবশালী ছয়টি দেশের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চুক্তি হয়। গত বছর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ চুক্তি থেকে বের হয়ে গেল দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর তেহরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এদিকে ওয়াশিংটন জানায়, ইরানকে সতর্ক করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিসরের সুয়েজ খালে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী আব্রাহাম লিংকন মোতায়েন করা হয়েছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছেন, বাড়তে থাকা ইরানি বাহিনীর উসকানিমূলক ইঙ্গিত ও সতর্ক বার্তার প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানি ও তাদের ছায়া বাহিনীর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতির প্রতিরোধক হিসেবে এই রণতরী ও বোমারু বিমান মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বোল্টন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ ধরনের কোনো হামলা হলে কঠোর শক্তি প্রয়োগ করে জবাব দেয়া হবে।
এছাড়া ইরানের হুমকির জবাবে কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে বি-৫২ স্ট্রাটোফোরট্রেস বোমারু বিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের ঘোষণাকে পুরান খবর বলে উড়িয়ে দিয়ে এটিকে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে আখ্যা দেয় ইরান।
তেহরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের চলমান পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের স্থায়ী পারমাণবিক কর্মসূচির অংশ পুনরুজ্জীবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চুক্তিটি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নেই।
ছবি সংগৃহীত
Facebook Comments