লোকসভা নির্বাচনে বাঘা বাঘা নেতারা ধরাশায়ী হলেও চমক দেখিয়েছেন তারকারা। বিজয়ী হয়েছেন টলিউডের মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান, লকেট ও দেব। এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর থেকে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন টলিউড সেনসেশন মিমি চক্রবর্তী।
মিমির বিরুদ্ধে লড়েছেন দল বিজেপির প্রার্থী অনুপম হাজরা ও বামফ্রন্টের বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। যাদবপুরে এবার ত্রিমুখী লড়াইয়ের কথা বলা হলেও মূলত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি।
যাদবপুরের জনগণ মমতার প্রার্থীকে বিপুল ব্যবধানে জয়ী করেছেন। ২ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে অনুপম হাজরাকে পরাজিত করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মিমি।
নির্বাচনে জয়ের পর মিমি বলেন, আজ আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, যাদবপুরে শুধু শিক্ষক, অধ্যাপক বা আইনজীবী নির্বাচনে দাঁড়ালে মানুষ ভোট দেবে— যাদবপুরের এই মিথ আমি ভেঙে দিয়েছি। আমি নতুন ইতিহাস রচনা করেছি।
তিনি বলেন, যাদবপুর শুধু ‘রেড ব্লক’ এটা আর বলা যাবে না। যাদবপুর থেকেই এখনও পর্যন্ত যতসংখ্যক ভোট পেয়েছি আমি, সেই সংখ্যাটাই প্রমাণ করে মানুষ তারুণ্যকে চেয়েছে। পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দলের সবার সম্মিলিত পরিশ্রমের ফল এই জয়।
নিজের নির্বাচনী মাঠ তৈরির কথা উল্লেখ করে মিমি বলেন, দেখুন যাদবপুরে এমন কোনো অঞ্চল ছিল না যেখানে মিমি যায়নি। এক এক জায়গায় সাত-আট বার করে গিয়েছি। আর দেখুন মানুষের পালস্ বুঝতে পারার অভিজ্ঞতা তো আমার আজ হয়নি। স্টেজ শো করতে করতে দেখেছি মানুষ নাচছে। সেই রিঅ্যাকশনে আমাদের পারফর্ম করতে ভালো লাগে।
প্রচারের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে মিমি বলেন, প্রচারে গিয়েছি, একটা পাঁচ বছরের মেয়ে বলছে- আমি বড় হয়ে ‘মিমি’ হতে চাই। আট বছরের এক মেয়ের বাবা-মা এসে বলছে- আমাদের মেয়ের নাম রেখেছি মিমি। সত্তর বছরের বৃদ্ধা জড়িয়ে ধরে রীতিমতো কাঁপছেন আর বলছেন- এত কাছ থেকে মিমিকে তিনি এ জন্মে পাবেন ভাবেননি। আর কী চাইব বলুন, মানুষের এমন ভালোবাসার জোর!
বসিরহাটে বিজয়ী নুসরাতকে অভিনন্দন জানাতে ভুল করেননি মিমি। বলেন, এই তো জাস্ট কথা হলো। আমি আর নুসরত দুজনেই তো অনেকসংখ্যক ব্যবধান রেখে জয় পেলাম। মানে বলতে চাইছি- আমাদের জয়ের মার্জিন অনেক বেশি। সেটা নিয়ে খুব এক্সাইটেড আমরা। সামনে অনেক বড় দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসনের মধ্যে মিমির দল তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২২ আসন। নরেন্দ্র মোদির বিজেপি পেয়েছে ১৮টি। আর বাকি দুটি পেয়েছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস।
ছবি সংগৃহীত
Facebook Comments