পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ এই মরণব্যাধী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
এই প্রতবেদন প্রকাশের আগে শুক্রবার (৩ মে) পাকিস্তানের লারকানা প্রদেশে এক ডাক্তার ইচ্ছাকৃতভাবে ৯০ জনকে মরণঘাতী এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত করেছেন যার মধ্যে ৬৫ জন শিশু। এই তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিল এএফপি ।
এএফপি প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ওই ডাক্তার নিজেও এইচআইভি আক্রান্ত। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে অনেকবার ব্যবহৃত সিরিঞ্জ দিয়ে রোগীদের শরীরে এই মরণঘাতী ভাইরাস ছড়িয়েছেন। লারকানা রাজ্যের পুলিশ প্রধান কামরান নওয়াজ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে ওই চিকিৎসক নিজেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের একমাসের মধ্যে এনডিটিভি প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনের তথ্য মতে, সিন্ধু প্রদেশের রাতোদেরো অঞ্চলে ২১ হাজার ৩৭৫ জন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করলে এইচআইভি ভাইরাসআক্রান্ত ৬৮১ জন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। যার মধ্যে ২ থেকে ১৫ বছর বয়সী এইচআইভি রোগী পাওয়া যায় ৫৩৭ জন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহাকারী জাফর মির্জা দৈনিক ডন সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানে এইচআইভি ছড়ানোর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) ১০ জন চিকিৎসক কাজ করবেন।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই মরণব্যাধী ভাইরাস ছড়ানোর কারণ অস্বাস্থ্যকর স্যানিটারি সরঞ্জাম ব্যবহার, অনিরাপদ রক্ত গ্রহণ ও অসামাজিক আচরণ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, এশিয়াতে এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির দিক থেকে পাকিস্তানের অবস্থান দ্বিতীয়।
ছবি সংগৃহীত
Facebook Comments