দ্বিতীয়বার প্রকাশ্যে মেজাজ হারালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। গাড়ির পাশে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেওয়ায় বিক্ষোভকারীদের ধমক দেন তিনি। কিছু দূর যাওয়ার পর ফের স্লোগান শুরু হওয়ায় আর মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি তৃণমূল সভানেত্রী। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ক্রিমিনাল, বহিরাগত, দেখে নেবো প্রভৃতি বলে গালমন্দ করেন মমতা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলার নৈহাটিতে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
বিক্ষোভের মধ্যে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’ সিনেমার একটি সংলাপ উল্লেখ করে হুমকি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি সবাইকে চিনি… তাদের চ্যালেঞ্জ করছি… মিঠুন চক্রবর্তীর ডায়ালগটা মনে আছে? মারবো এখানে.. লাশ নিয়ে তিনি যেভাবে বলেছিলেন, আমি সেভাবে বলবো না। আমি বলবো, মারবো এখানে, আর বিচার হবে অন্য কোথাও।
এরপর নৈহাটির প্রতিবাদ সভায় মমতা অভিযোগ করেন, তার গাড়িতে হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল। রাস্তার পাশের দাঁড়িয়ে থাকা যুবকরা তাকে গালিগালাজ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের সব ক’টিতেই তৃণমূল কংগ্রেস জয় পাবে বলে ঘোষণা করেছিলেন সভানেত্রী। তবে ফলাফলে তেমনটা হয়নি। বিজেপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে তাদের। তৃণমূলের ২২টি আসনের বিপরীতে বিজেপি জিতেছে ১৮টিতে। তৃণমূল পেয়েছে ৪৩ শতাংশ ভোট, আর বিজেপি ৪০ শতাংশ। নির্বাচনের পরপরই তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা বিজেপিতে যোগ দেন। এসবের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠানেও যাননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার ‘জয় শ্রী রাম’ বিতর্কের শুরু নির্বাচনের আগে। মে মাসের শুরুতে মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় কয়েকজন বিজেপি কর্মী তার গাড়িবহরের সামনে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেন। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে তাদের ধমক দেন তৃণমূল নেত্রী। পরে তাদের আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয় মমতার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে ওঠে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান।
ছবি সংগৃহীত
Facebook Comments