“বন্ধু তোর লাইগ্যা রে, আমার তনু জরো জর” মনে লয় ছাড়িয়া যাইতাম থুইয়া বাড়ি ঘর বন্ধু তোর লাইগ্যা রে । সত্যি কি তিনি আমাদের ছাড়িয়া গিয়েছেন? না। আজ যখন “দোহার” গান গায় তিনি থাকেন। মনে পড়ে কালিকা প্রসাদ যখন মঞ্চে উঠতেন তাঁর হাতে থাকত একটা মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট। আজ ও থাকে। মঞ্চের উপর। সবার মাঝে। কখনও গাইতে গাইতে চোখে আসে জল। আবার কখনও তাঁর থেকে একটু দূরে বসে থাকা শ্রোতারা জায়েন্ট স্ক্রিন এ তাঁকে দেখেন। আর হঠাৎ করেই কানে আসে তাঁর গলার আওয়াজ। কালিকা প্রসাদ আজও আছেন আমাদের সঙ্গেই। দোহারের সঙ্গে।
পিসি চন্দ্র গার্ডেন এ হয়ে গেল দোহারের অনুষ্ঠান। গানে কথায় সুরে আবার স্মরন করা তাঁকে। “গানে বন্ধুরে ডাকি, গানে প্রেমের ছবি আঁকি”। এই সন্ধ্যেতে হাজির ছিলেন আরও অনেকে। ছিলেন ঋষি, গঙ্গাধর, তুলিকা, পৌষালী, পঙ্কজ। সারা সন্ধ্যে জুড়ে ছিল আবেগের সুর। কখনও সোঁদা মাটির গন্ধ, কখনও আবার রাধা কৃষ্ণের চরণ ছোঁয়া।
মুগ্ধ শ্রোতারা নিলেন, শুনলেন, মনে মনে ছুঁয়ে দেখলেন “মাটির মানুষ”কে।
পিসি চন্দ্র গার্ডেন সেজে উঠেছিল আলোয় আলোয়। স্টেজে ছিল “দোহার” আর তার পাশে জায়েন্ট স্ক্রিন থাকা কালিকা প্রসাদ আরও একবার সবাইকে বলে গেলেন “এতো আনন্দ আয়োজন সব বৃথা আমায় ছাড়া”। ফিরে আসুক, ঘিরে থাকুক আমাদের কালিকাপ্রসাদ।
Photograph by- Rainak Dutta
Facebook Comments