দেশের সকল সরকারি অফিসে ফেসবুক কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ মতন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি নির্দেশনায় বলা হয়, দেশজুড়ে সাইবার অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি অফিসগুলোতে গোপন তথ্যের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে অফিসগুলোতে কর্মীরা কম্পিউটারের পাশাপাশি নিজেদের মোবাইল ফোনে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। কেননা এতে সরকারি তথ্য হুমকির মুখে পড়ে।
মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সরকারি অফিসগুলোতে কর্মরত কোনো ব্যক্তি যদি নিজের প্রয়োজনে অফিসের কম্পিউটারে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে চান, তাহলে অবশ্যই তাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। অফিসের দেওয়া ই-মেইল আইডি বাইরে কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।’
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মকর্তারা অফিসের বাইরে নিজেদের ইউএসবি যন্ত্র (পেন ড্রাইভ, হার্ডডিস্ক প্রভৃতি) নিয়ে যেতে পারবেন না। এমনকি তারা কোনোভাবেই সরকারি যেকোনো তথ্য বা নথি গুগল ড্রাইভ, ড্রপ বক্স ও আই ক্লাউড-এ সংরক্ষণ করতে পারবেন না বলে নির্দেশনায় জানানো হয়। এবারের নির্দেশনায় সরকারের যে বিভাগগুলোকে নিয়ে প্রতিটি কর্মকর্তাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে; তার মধ্যে রয়েছে- অফিসে কম্পিউটারের ব্যবহার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট, ওয়াই ফাই ব্যবহার, ই-মেইলের ব্যবহার, স্টোরেজ মিডিয়া যন্ত্র ব্যবহার, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাটাকসহ বিভিন্ন দিক। এমনকি একজন সরকারি কর্মকর্তা ঠিক কেমন করে অফিসের কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্যগুলোকে গোপনভাবে সুরক্ষিত রাখবেন এবং এর পাসওয়ার্ড কীভাবে শক্তিশালী করতে হবে ওই নির্দেশনায় তাও শেখানো হয়। যেখানে বলা হয়, সমস্ত শ্রেণিবদ্ধ কাজ এমন কম্পিউটারে করা ভালো, যেটাতে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই। তাছাড়া ন্যূনতম ১০টি অক্ষর দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে; যেখানে নম্বরের সঙ্গে থাকতে হবে অক্ষর ও বিশেষ চিহ্ন। কম্পিউটারে যেই অ্যান্টি ভাইরাস থাকবে, তার মেয়াদ যেন সঠিক থাকে। একই সঙ্গে কম্পিউটারের স্ক্রিনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুলে রেখে উঠে যাওয়া যাবে না বলেও মন্ত্রণালয়ের সেই নির্দেশনায় জানানো হয়।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments