জম্মু ও কাশ্মীরে প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে করা মামলার শুনানি আজ। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারক সম্বলিত একটি বেঞ্চ শুনানিটি পরিচালনা করবেন। যেখানে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা রাজ্যের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার ও সেখানকার চলমান পরিস্থিতি বিষয়ে নিজেদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রধের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।
এসবের মধ্যেই চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত মধ্যকার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে একে একে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। যদিও এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে পাক সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন; আর ভারত পাশে পেয়েছে রাশিয়াকে। এ দিকে গোটা রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা সদস্য। গ্রেফতার করা হয়েছে স্থানীয় শতাধিক নেতাকে। এমনকি বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা পর্যন্ত। যে কারণে বিরাজ করছে এক রকম থমথমে পরিস্থিতি। যার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন অধিকারকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা। যেখানে কাশ্মীর উপত্যকায় চলমান অচলাবস্থাকেও চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
মূলত সে বিষয়েই এবার বিচারপতি অরুণ মিশ্র নেতৃত্বাধীন একটি যৌথ বেঞ্চ শুনানিটি পরিচালনা করবেন। যদিও আবেদনকারী তেহসিন পুনাওয়ালা এখনো সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ব্যাপারে নিজের কোনো মতামত দেননি। তবে তিনি সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তেহসিন দাবি করেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে যেন অবিলম্বে একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়। তাছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই কমিশন যেন তাদের কাজ শেষে প্রতিবেদন জমা দেন।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments