বিশ্বের ১১৯টি দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও চালু হচ্ছে ইলেকট্রনিক বা ই-পাসপোর্ট। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে পাওয়া যাবে ডিজিটাল এই পাসপোর্ট।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, জার্মানির একটি কোম্পানি ই-পাসপোর্ট বাস্তবায়নে কাজ করছে।
বিশ্বের ১১৯টি দেশের নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। এবার বাংলাদেশও যুক্ত হতে যাচ্ছে ওইসব দেশগুলোর সঙ্গে তাল মেলাতে।
জানা গেছে, বর্তমানে বই আকারে যে পাসপোর্ট আছে, ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে বর্তমানে পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে থাকবে পালিমারের তৈরি একটি কার্ড। এই কার্ডের মধ্যে থাকবে একটি চিপ। সেই চিপে পাসপোর্টের বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডাটা পেজে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। এ ই-পাসপোর্টের মেয়াদ বয়স অনুপাতে ৫ ও ১০ বছর হবে।
পাসপোর্ট অধিদফতর জানায়, ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরপি পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাবে না। এছাড়া নতুন করে কাউকে এমআরপি পাসপোর্ট দেওয়া হবে না। তবে কারো এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে সে নবায়ন করতে গেলে তাকে এমআরপির বদলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে এমআরপি পাসপোর্ট তুলে নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দ্রুত সময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে, ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এরপর প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিআইপি) তৈরি থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সব কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদফতর।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য দেশের প্রতিটি বিমান ও স্থলবন্দরে চাহিদা মোতাবেক ই-গেট স্থাপন করে স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হবে। যাদের হাতে ই-পাসপোর্ট থাকবে, তাদের এই গেট দিয়ে সীমান্ত পার হতে হবে। তবে যাদের হাতে এমআরপি পাসপোর্ট থাকবে, তাদের ইমিগ্রেশনের কাজ বিদ্যমান পদ্ধতিতে চলমান থাকবে।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments