জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য গত বৃহস্পতিবার দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে হিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। ফলে বদলে গেল ভারতের রাজ্যওয়াড়ি মানচিত্র। শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রকাশিত নয়া মানচিত্রে রয়েছে ২৮টি রাজ্য এবং ৯’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
নয়া মানচিত্র অনুযায়ী লাদাখে দু’টি জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে। কারগিল ও লে। গিলগিট, বালতিস্তানকে লাদাখের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরে জেলার সংখ্যা ২০টি রাখা হয়েছে। যার মধ্যে দেখানো হয়েছে, মুজাফফরাবাদ, পুঞ্চ ও মিরপুর। এই তিনটি এলাকা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তর্গত। এখনও এই নিয়ে পাকিস্তান ও চিনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভারতের নতুন মানচিত্রে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশকে নিজেদের বলে দাবি করায় ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। অনেকেই বলছেন, শুধু মানচিত্রে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের দাবি করলে চলবে না। ছিনিয়ে নিতে হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর।
সন্ত্রাসবাদ দমন ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অমিত শাহ বলেন, লাদাখ এত দিন জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে থাকলেও, সেখানকার ভূপ্রকৃতি ও জনসংখ্যার চরিত্র আলাদা। সেখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত এলাকা ঘোষণার। অন্য দিকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদের কথা মাথায় রেখে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত এলাকা করা হচ্ছে। অন্য কেন্দ্রশাসিত এলাকার মতোই এ ক্ষেত্রে রাজ্যের মাথায় থাকবেন উপরাজ্যপাল। সংবিধানের ৩৬০ অনুচ্ছেদে আর্থিক সংকট ঘোষণা করার অধিকার থাকবে কেন্দ্রের হাতে। দিল্লির মতো জম্মু ও কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও চলে আসবে কেন্দ্রের হাতে।
Facebook Comments