একটি ডাচ কোম্পানির বানানো এই উড়ন্ত গাড়ি ইতোমধ্যে বাজারজাত করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামিতে বিশ্বের প্রথম ‘ফ্লাই অ্যান্ড ড্রাইভ’ গাড়িটি প্রদর্শিত হয়েছে। গাড়িটির নাম হচ্ছে ‘পাইওনিয়ার পারসোনাল এয়ার ল্যান্ডিং ভেহিকেল’ বা পিএএল-ভি।
মায়ামি আর্ট উইক ২০১৯-এ ‘মায়ামি ২০২০ অ্যান্ড বেয়ন্ড’ ইভেন্টে ওই উড়ন্ত গাড়ি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গাড়িটি ওড়ার পাশাপাশি অন্য গাড়ির মতো রাস্তায়ও চলতে সক্ষম। সেই হিসেবে এটিই প্রথম গাড়ি যা কি না একইসঙ্গে উড়তে ও চলতে পারে।
কার্বন ফাইবার, অ্যালুমিনিয়াম ও টাইটেনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পিএএল-ভি’র বডি। গাড়ির ওপরের অংশ ও পেছনের প্রপেলার সংকুচিত করে রাখা যাবে। সেভাবেই পিএএল-ভি তৈরি হচ্ছে। একটি বাটন চাপলেই পাখির মতো ডানা মেলে গাড়িটি। গাড়িটি উড়তে পারে ঘণ্টা প্রতি ২০০ মাইল বেগে এবং সড়কে ঘণ্টা প্রতি ১০০ মাইল বেগে চলতে পারে। ভূমি বা মাটি থেকে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম গাড়িটি। অন্যান্য গাড়ির মতোই জ্বালানিতে চলে এটি। এই গাড়িটির ওজন ১৫শ পাউন্ড। উড্ডয়নের জন্য এটির প্রয়োজন পাঁচশত ৪০ ফুট দীর্ঘ রানওয়ে আর অবতরণের জন্য ১০০ ফুট দীর্ঘ রানওয়ে প্রয়োজন হবে।
এই গাড়িতে একসঙ্গে দুজন চড়া যাবে। এতে চার-সিলিন্ডার বিশিষ্ট একটি ইঞ্জিন রয়েছে।
ইতোমধ্যে ডাচদের বানানো এই গাড়িটি বাজারজাত করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ২০২১ সালে উড়ন্ত গাড়িটি বাজারে আসার কথা রয়েছে। এটির দাম ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় পাঁচ কোটি আট লাখ ১৯ হাজার টাকা। এরই মধ্যে ৭০টি গাড়ি অর্ডার করা হয়েছে। তবে গাড়িটি কিনতে চাইলে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাইলট লাইসেন্স দুটোই থাকতে হবে।
এর আগে, পিএএল-ভি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রবার্ট ডিঙ্গেমান্সে এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের টিম প্রযুক্তিগত সব ধরনের বাধা পেছনে ফেলে একটি উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। উড়ন্ত গাড়িতে নিরাপত্তার সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সিনেমাতে অসংখ্য বার উড়ন্ত গাড়ি দেখেছি। মাঝখানে আর মাত্র এক বছর। এরপর থেকেই তা বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments