সফল ভাবে ১০০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও এখনো ‘হামি’ নিয়ে দর্শকদের মনে উত্তেজনা এতটুকুও কমেনি। পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখার্জী এবং নন্দিতা রায়ের এই ছবি ইতিমধ্যেই এই বছরের সেরা হিটের দৌড়ে অন্যান্য ছবিগুলিকে কয়েক কদম পেছনে ফেলে দিয়েছে। শুধুমাত্র শহরের মাল্টিপ্লেক্সই নয়, শহরের এবং মফস্বলের সিঙ্গল স্ক্রিনেও দুর্দান্ত ব্যবসা করেছে হামি। শুধুমাত্র ‘নবীনা’তেই হামি এখনো পর্যন্ত ব্যবসা করেছে ৪২ লক্ষ টাকার। এছাড়াও ডানলপের ‘সোনালী’, হাওড়ার ‘পুস্পশ্রী’, মালদার ‘রূপকথা’, জলপাইগুড়ির ‘সিনেবাজ’ সহ একাধিক সিঙ্গল স্ক্রিন হলে নজরকাড়া ব্যবসা করেছে ‘হামি’। গতকয়েক বছর ধরেই শিবু-নন্দিতা জুটির ছবি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসার পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়োচ্ছে। এর একটি অন্যতম কারণ হল শিবু-নন্দিতার গল্প বলার ধারা। আমাদের সমাজের অনেক বড় সমস্যাগুলোকে অনেক সহজ ভাষায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সফল হয়েছেন এই পরিচালকদ্বয়। যার ফলে শহরাঞ্চলে তো বটেই, গ্রামাঞ্চলেও দারুণ সফল হচ্ছে এই দুই পরিচালকের ছবি।
এর আগে শিবু-নন্দিতার ‘বেলাশেষে’, ‘প্রাক্তন’, ‘পোস্ত’ও দর্শকমহলে বিপুল প্রশংসিত হয়েছিল। শিবু-নন্দিতার হেঁশেল থেকে পরের পর সোনা বেরনোর পরে এখন দর্শকদের চাহিদাও খানিকটা বেড়েছে বৈকি। তাই ‘হামি’র ওপর বাঙালি সিনেপ্রেমীকদের একটা প্রত্যাশা ছিলই। বলাই বাহুল্য, ‘হামি’ হতাশ করেনি। ‘বেলাশেষে’, ‘প্রাক্তন’, ‘পোস্ত’র পরেও ‘হামি’ও সফল ভাবে ১০০ দিন অতিক্রান্ত করল। শনিবার ‘হামি’র সফলতম ১০০ দিন পালন করা হল বারুইপুরের একটি প্রেক্ষাগৃহে। ছবির দুই পরিচালক ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল সকলের প্রিয় ‘ভুটু ভাইজান’ তথা ব্রত এবং ছবির অন্যান্য কলাকুশলীরা। কেক কেটে সাড়ম্বড়ে পালন করা হল ‘হামি’র ১০০ দিন। ‘হামি’কে উজাড় করে ভালোবাসা দেওয়ার জন্য দর্শকদের ধন্যবাদ জানান দুই পরিচালক শিবপ্রসাদ এবং নন্দিতা।
ছবি সৌজন্যে- উইন্ডোজ প্রোডাকশন হাউস
Facebook Comments