ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় হাজিরার নির্দেশও এড়িয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। অসুস্থতার কারণ উল্লেখ করে আবারও সিবিআই-এর সামনে হাজির হলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই আধিকারিকদের একটি চিঠি দিয়েছেন, যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, চিকিত্সকরা তাকে চার সপ্তাহ বিছানা থেকে উঠতে বারণ করেছেন, বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার দিনই দুপুর দেড়টা নাগাদ গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রতকে নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার তাকে হাজির হতে বলা হয়, যদিও অনুব্রত বা তাঁর আইনজীবী কেউই সিবিআইয়ের সামনে হাজির হননি। এরপরেই প্রথমে ইমেল মারফত এবং পরে অনুব্রতর আইনজীবী স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জানান, এসএসকেএম থেকে সবে সাড়া পেয়েছেন, তিনি গুরুতর অসুস্থ, অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন, একাধিক সমস্যা রয়েছে শরীরে, তাই চিকিত্সক এক মাস বেড রেস্টের পরামর্শ দিয়েছেন। তাই চার সপ্তাহ সময় দিক সিবিআই।
এরপর চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে, যেখানে বর্তমানে তিনি রয়েছেন, সেখানেই দুই সিবিআই আধিকারিক আসেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে সেভাবে কিছু না বললেও তারা জানান, অফিসিয়াল কাগজ দিতে এসেছেন। সিবিআই সূত্রে জানা যায়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাজিরার নোটিশ দিতেই গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। তাকে এই মামলার তদন্তে সহায়তার জন্য বলা হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে রবিবার দুপুর আড়াইটার মধ্যে তলব করা হয়, কিন্তু সেই হাজিরাও এড়িয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই এসএসকেএম থেকে ছাড়া পান তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তখন থেকেই সিবিআই অনুব্রতকে সিবিআই তলব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। আর সেটাই হয়, ২৪ ঘন্টাও কাটল না, গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেয় সিবিআই। এরপরেই আবার এল ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় হাজিরার নোটিশ।
প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। এদিন হঠাত্ করেই তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরে, তিনি সিবিআইয়ের কাছে হাজির হওয়ার জন্য এক মাসের সময় চেয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন এবং এখন যখন তিনি হাসপাতাল থেকে ফেরেন, তখনও তিনি স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ দেখিয়ে আবারও দুটো মামলাতেই সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে গেলেন।
Facebook Comments