আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে অর্জুনের দেহের ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্দেশ অনুযায়ী, শনিবার সকালে আরজি কর থেকে মৃতদেহ কেন্দ্রীয় সরকারের কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ, শনিবার সকালে মরদেহ গ্রিন করিডরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগ থেকে ৩ থেকে ৪ জনের একটি দল গঠন করে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ এবং কল্যাণী এইমস-এর একজন বিশেষজ্ঞ। ময়নাতদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফিও করা হবে। এটা করা হয়েছে যাতে পরবর্তীতে কোনও প্রশ্ন উঠলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
অমিত শাহের সফরের সময় কাশিপুরে বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবার তার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে অস্বীকার করে। অর্জুনের মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। অর্জুনের গলায় বেগুনি গামছা বাঁধার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব দেখে তারা প্রশ্ন তুলছেন মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে কাশিপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবী করেন।
এই সমস্ত অভিযোগের মধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি নেতার পরিবার। পরিবারের দাবী আরজি কর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা উচিত্ নয়। পরিবার ভিডিওগ্রাফি করতে বলেছে। সেই দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির একটি ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের কমান্ড হাসপাতালে অর্জুনের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। আদালতের আরও নির্দেশ, পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নিশ্চিত করতে হবে যে আরজি কর হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিরাপদে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
কলকাতা হাইকোর্ট কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছে যাতে মৃতের পরিবার যথাযথ সুরক্ষা পায়। মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের একটি ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং কেস ডায়েরি একই দিনে আদালতে পেশ করতে হবে। ইতিমধ্যেই অর্জুনের বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
সূত্রঃ প্রেসকার্ড
Facebook Comments