সিবিআইয়ের আধিকারিক রা শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করলেন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপকে সিংহ সেঙ্গার কে। তার উপর অভিযোগ ছিল যে সে ১৭ বয়সী মহিলাকে ধর্ষণ করে তাছাড়াও, সেই মেয়েটির বাবাকেও শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং মারধর করে।
এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৭ বছরের ওই কিশোরী জানিয়েছেন, একসময় তাঁরা মাখি গ্রামে প্রতিবেশী হিসাবে ছিলেন । নির্যাতিতা বিধায়ককে দাদা বলে ডাকতেন। খুবই ভালো এবং বন্ধু বা আত্মীয়র মতো সম্পর্ক ছিল দুজনের মধ্যে। বিধায়ক তাঁকে সরকারি চাকরি পাওয়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন।
গতবছর মে মাস পর্যন্ত সব ঠিকই চলেছিল। নির্যাতিতার অভিযোগ গত বছর ৪ তারিখে প্রথম বারের মতো শারীরিক শোষণ করা হয়। তারপর কাউকে না জানানোর হুমকি দেওয়া হয়। তারপর আবার গতবছর ১১ জুন তারিখে তাঁকে আবার তুলে নিয়ে যায় বিধায়কের দলবল। কয়েকদিন যাবৎ ক্রমাগত গণ ধর্ষণ করে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়।
পরে তিনি সেখান থেকে উদ্ধার হন।
তারপর তিনি বিভিন্ন উপায়ে প্রতিবাদের চেষ্টা করে গেছেন।প্রথমে তিনি প্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ কে জানিয়েছিলেন। তারপর চিঠি লিখে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আর উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি কেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কারোর পক্ষ থেকেই কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি।
উল্টো তিনি বিভিন্ন ধরনের হুককির সম্মুখীন হয়েছেন।
কিছুদিন আগে তার বাবাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিমগাছের সঙ্গে বেঁধে গায়ে জল ঢেলে বন্দুক আর লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।তখনই তিনি যোগী আদিত্যেনাথের সঙ্গে বাসভবনে দেখা করতে যান। কিন্তু আখেরে কিছুই লাভ হয় নি। উল্টে তাঁর পিতাকে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। আর তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আজকে এ মামলার শুনানিতে এলাহাবাদ কোর্ট
ছবি সৌজন্যে: দৈনিক ভাস্কর
Facebook Comments