‘সে আমার সম্পত্তি নয় / সে আমার সম্পদ’ রবীন্দ্রনাথের এই একটা কথাতে মিলেমিশে রয়েছে প্রেম,কামনা আর মর্যাদা। মনের মিলের পর থেকেই তৈরি হয় শারীরিক আকর্ষণ। যা একটি সম্পর্ককে মজবুত করে। এই মজবুত সম্পর্কই হল দুটি হৃদয়ের সম্পদ। যাকে রক্ষা করাই,একটি দম্পতির প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের দোরগোড়ায় আজ এই সম্পদ প্রায় ডুমুরের ফুলের মত। প্রেম, অনুভূতি, আবেগ, যৌনতা উধাও হয়ে যাচ্ছে সমাজের বুক থেকে। অবশ্য এর জন্য দায়ী আমাদের চলন, ভোজন আর শয়ন। এই তিনের সামঞ্জস্য আনতে পারলেই স্বাভাবিক যৌনতা ফিরবে ঘরে ঘরে।
ভোজন রসিক মানুষের কাছে আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্যাকেট জাতীয় ও নানান প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের অতিরিক্ত রিফাইন করা খাবারে প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ থাকে না। ফলে,অতিরিক্ত মাত্রায় প্যাকেট জাতীয় খাবার খেলে স্বাভাবিক যৌন ইচ্ছা হ্রাস পায়।
বিভিন্ন ধরনের সোডা জাতীয় ঠাণ্ডা পানীয়, অ্যালকোহল ও ধূমপান যৌনতার ইচ্ছেকে দমিয়ে দেয়। যাদের এই ধরনের পানীয়র প্রতি বেশি আসক্তি তাঁদের শরীরের হরমোনের ও নার্ভের অসংগতি লক্ষ্য করা যায়। শুধুই সোডা জল বা মাদক নয়, কফিও অনেকটা দায়ী। কারণ, কফিতে থাকা ক্যাফাইন যেমন উত্তেজনা বৃদ্ধির সহায়ক তেমনই উদ্বেগ বাড়াতেও ভূমিকা নেয়। এইসব পানীয় বেশি পানের ফলে ব্যহত হয় স্বাভাবিক যৌনতা।
খাবারের তালিকা থেকে চিনি বা শর্করা জাতীয় খাবারকে বেশি প্রশ্রয় না দেওয়াই ভাল। কারণ, চিনি বা শর্করা জাতীয় খাবার শরীরে ইনসুলিন হরমোনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে গেলে তা ইস্ট্রোজেনের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, পেটে অতিরিক্ত মেদ জমতেও সাহায্য করে শর্করা।
যৌন আকাঙ্খায় ভোজন যেন বাঁধা না হয়ে দাঁড়ায় সেই জন্য ভোজন করতে হবে বুঝে।
Photo- daily mail,,huffington post
Facebook Comments