আটলান্টিক মহাসাগর থেকে আসা শক্তিশালী হারিকেন ডোরিয়ানের আঘাত সামলে ওঠার আগেই বাহামা দ্বীপপুঞ্জের দিকে আবারও ধেয়ে আসছে নতুন একটি ঘূর্ণিঝড়। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, ক্রান্তীয় নবম নিম্নচাপটি আগামী দুই দিনের মধ্যে এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে বাহামায় আঘাত হানতে পারে।
নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে দ্বীপপুঞ্জটিতে ভারী বৃষ্টিপাত ও জোরালো বাতাস বইতে শুরু করেছে। যে কারণে উদ্ধার কর্মকর্তারা নতুন ঝড়ের কারণে তাদের পূর্বের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় বিঘ্ন ঘটতে পারে সতর্ক করেছেন।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ বাহামায় আঘাত হেনেছিল শক্তিশালী হারিকেন ডোরিয়ান। ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা এই হারিকেনের তাণ্ডবে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যু হয়। এতে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও প্রায় এক হাজার তিনশর বেশি মানুষ। তাছাড়া আরও কমপক্ষে ১৫ হাজারের অধিক লোক এরই মধ্যে তাদের আশ্রয়, খাবার ও চিকিৎসা সহায়তার সংকটে পড়েছে। টানা ১৪ দিনের নিরলস প্রচেষ্টার পর এখনো সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা।
এ দিকে বিশ্লেষকদের মতে, অঞ্চলটিতে নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় কোনো ধরনের আগাম প্রস্তুতি ছাড়াই আরও এক বড় বিপদের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে জনগণ। তাছাড়া কর্মকর্তারা এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন, আগামী কয়েক দিনে দ্বীপপুঞ্জটিতে প্রায় চার ইঞ্চিরও বেশি বৃষ্টিপাত ও ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগের বাতাস বইতে পারে।
অপর দিকে বাহামার জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার (নিমা) কর্মকর্তা কার্ল স্মিথ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আসন নতুন ঝড়ের কারণে নিখোঁজদের উদ্ধারে আমাদের চলমান তল্লাশি অভিযান অনেকটাই ব্যাহত হতে পারে। একই সঙ্গে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্র্যান্ড বাহামা এবং গ্রেট অ্যাবাকো দ্বীপে জরুরি ত্রাণ সরবরাহও বিঘ্ন ঘটতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘তবুও আশা করছি- এমনটা আর হবে না। কেননা আগামীতে আমরা যেসব সম্ভাব্য সংকটময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারি এবার তা মোকাবিলায় পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments