বিজেপির পক্ষ থেকে সোমবার রাজপথ জুড়ে সংকল্প মিছিলের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির নাম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংকল্প মিছিল। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমনি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত হেঁটে যাবেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিকেল থেকেই কলকাতা শহর ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এসে হাজির হয়েছেন। মিছিল শেষে সমাবেশ। মিছিলটি সুবোধ মল্লিক থেকে এনএন ব্যানার্জি রোড হয়ে যাবে। সামনে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। মিছিলটি ৫টি ভাগে বিভক্ত হয়ে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাবে। সামনে থাকবেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্র পাল, রাহুল সিনহা প্রমুখ। মিছিলে তৃণমূল সরকারকে ব্যঙ্গ করে হাতে চপ মুড়ি নিয়ে মিছিলে যোগ দেন বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপি নেতৃত্ব দাবী করছে যে রাজ্যে ভোট-পরবর্তী সহিংসতা এবং গণতন্ত্র রক্ষা করা উচিত্। সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এদিন আমাদের কর্মীদের হেনস্থা করা হয়েছিল। দিনটি আমরা ভুলব না। আমরা কাউকে ভুলতে দেব না। তাই এই মহামিছিল।’
সোমবার রাজ্যে তৃণমূল সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি। বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের সহিংসতার বিষয়ে ট্যুইট করেন। তিনি লিখেন, “যেদিন বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছিল, সেদিন থেকে অনেক বিজেপি কর্মী এবং তাদের পরিবার রাজ্যে ক্রমাগত সহিংসতার শিকার হয়েছেন।” তিনি ট্যুইটারে অভিযোগ করেন, “মহিলারা ধর্ষিত ও নির্যাতিত হয়েছেন। ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অনেককে খুন করা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছে। ”
তৃণমূল সরকারের 11 তম বার্ষিকীর ঠিক আগে রবিবার বিজেপির ভোট-পরবর্তী সহিংসতার জন্য কলকাতা জুড়ে হোর্ডিং পড়েছিল। ভোট-পরবর্তী সহিংসতার বর্ষপূর্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সপ্তাহ পালনের আহ্বান জানিয়েছে গেরুয়া শিবির, শাসক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিকে ব্যঙ্গ করে। শহরের কেন্দ্রে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ, চাঁদনি চক, ধর্মতলা, তালতলা, জামবাজার এবং ডোরিনা ক্রসিং-এও বিজেপির হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল।
Facebook Comments