২২২টি আসনে ভোট হয়। তার মধ্যে ধর্মনগরে ২৫টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জয়ী বিজেপি। পানিসাগরে ১২টি আসনে জিতেছে বিজেপি। একটি পেয়েছে সিপিএম। কুমারঘাটে সবকটি (১৫ আসন) আসনই জিতেছে বিজেপি। আমবাসায় ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টিতে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম এবং ত্রিপুরামোথা একটি করে আসন জিতেছে। এ ছাড়া তেলিয়ামুড়া (১৫ আসন), সোনামূড়া(১৩ আসন), অমরপুর(১৩ আসন), বিলোনিয়া(১৩ আসন)-তে সবকটি আসনেই জয়ী গেরুয়া শিবির।
অপরদিকে আগরতলা পুরসভার ৫১টি আসনের মধ্যে ২৭টি আসনে জয়ী বিজেপি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২৬টি আসনে জয় দরকার ছিল। ফলে ২৭টি আসনে জিতে আগরতলা পুরসভা দখলে নিল বিজেপি। ১৬টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল। ১২টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম।
ত্রিপুরার পুরভোটের ফল নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের টুইট করেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের দুমাসের সংগঠনকে ঠেকাতে এত হামলা, মামলা এবং তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তার পরেও বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে তৃণমূল। আমবাসা ওয়ার্ডে জিতেছে দল। দলের লড়াই আর মানুষের সমর্থনকে ধন্যবাদ। পরে আরও একটি টুইট করেন, হামলা, মামলা, তাণ্ডব করে ছাপ্পা ভোটের পুরবোর্ড গড়ছে বিজেপি। আর মানুষের মন জয় করেছে তৃণমূল। ২০২৩-এ তৃণমূলের জয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হল। তিনি আরো লিখেছেন, এত মানুষের ভোট। ত্রিপুরা নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ দলদাস। পূর্ণ তথ্যের অপেক্ষায় আছি। দলের লড়াই আর মানুষের সমর্থনকে ধন্যবাদ। ২০২৩ আমাদের।’
ত্রিপুরার ভোট প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলায় তৃণমূলকে সুবিধা করে দেয়ার জন্য নো ভোট ফর বিজেপি অভিযান চালিয়েছিল। আজও কলকাতার বিভিন্ন ফ্লাইওভারে এই পোস্টার দেখা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই সেই নো ভোট ফর বিজেপি প্রচার কাকে সুবিধা পাইয়ে দেয়ার জন্য চালিয়েছিল সিপিএম, সেটা আগে তারা ঠিক করুক। তার পর না হয় ত্রিপুরা নিয়ে ভাববে।
সূত্র: জি নিউজ
Facebook Comments