মিশরের বেরেনিস বন্দরের কাছে ভগবান বুদ্ধের একটি প্রাচীন মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। ভাস্কর্যটি রোমান শাসনের সময় ভারত ও মিশরের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উপর আলোকপাত করে। মিশরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রক গত ২৮শে এপ্রিল ট্যুইটে এই আবিষ্কারটি প্রকাশ করেছে। ঘোষণা অনুসারে, এই মূর্তিটি যৌথ পোলিশ-আমেরিকান প্রত্নতাত্ত্বিক মিশন আবিষ্কার করেছে। ভগবান বুদ্ধের এই মূর্তিটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক মিশন দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছে, যা 1994 সাল থেকে বেরেনিসের সাইটে কাজ করছে।
نجحت البعثة الأثرية البولندية الأمريكية المشتركة، العاملة في مدينة برنيكي على ساحل البحر الأحمر في الكشف عن تمثال للمعبود بوذا من العصر الروماني، وذلك أثناء أعمال حفائرها بمعبد المدينة الأثرية. pic.twitter.com/d9ylp6Lp0n
— Ministry of Tourism and Antiquities (@TourismandAntiq) April 28, 2023
বেরেনিস ছিল টলেমাইক রাজবংশ দ্বারা নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এই রাজবংশ প্রায় তিন শতাব্দী ধরে মিশর শাসন করেছে। প্রত্নতত্ত্বের সুপ্রিম কাউন্সিলের মহাসচিব ডক্টর মোস্তফা ওয়াজিরি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন যে প্রাচীন বুদ্ধ মূর্তি আবিষ্কার রোমান যুগে মিশর ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের অস্তিত্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ দেয়। সেই সময়ে মিশর একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান ছিল যা রোমান সাম্রাজ্যকে ভারত সহ প্রাচীন বিশ্বের অনেক অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করেছিল।
ভাজিরির মতে, ‘রোমান যুগে লোহিত সাগর উপকূলের অনেক বন্দর এই বাণিজ্যে অংশ নিয়েছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ভারতীয় জাহাজগুলি মরিচ, টেক্সটাইল এবং হাতির দাঁতের মতো পণ্য বহন করে বেরেনিসে এসেছিল। বাকি জাহাজগুলোকে পাঠানো হয় আলেকজান্দ্রিয়ায় এবং এখান থেকে মালামাল পুরো রোমান সাম্রাজ্যে পৌঁছায়। পাওয়া মূর্তিটি 71 সেমি লম্বা এবং পাথরের তৈরি। মূর্তির মধ্যে বুদ্ধ তার কাপড়ের একটি অংশ ধারণ করে আছেন।
প্রতিমার পায়ের কাছে একটি পদ্ম ফুল রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক মিশনের পোলিশ দলের প্রধান ডাঃ মারিউস গোয়েজদা বলেছেন, ‘আবিষ্কৃত মূর্তিটি পাথরের তৈরি। ইস্তাম্বুলের দক্ষিণে একটি এলাকা থেকে পাথরটি উত্তোলন করা হয়েছিল। মূর্তিটি হয়তো স্থানীয়ভাবে খোদাই করা হয়েছে এবং ভারত থেকে আগত ব্যবসায়ীদের জন্য মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে সংস্কৃতে লেখা একটি শিলালিপিও পাওয়া গেছে, যেটি 200 সালের। একই সঙ্গে মন্দির সম্পর্কে গ্রিক ভাষায় লেখা একটি শিলালিপিও পাওয়া গেছে।
Facebook Comments