করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ফোন করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এসময় ‘বন্ধু’র দেশে ভ্যাকসিন পাঠানোর বিষয়ে ভারত ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা’ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মোদি।
ফোনালাপের সত্যতা নিশ্চিত করে বুধবার রাতে এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বন্ধু জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে ফোন পেয়ে আমি খুবই খুশি। তাকে আশ্বস্ত করেছি যে, কানাডায় করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারত সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতেও নরেন্দ্র মোদির কাছে কানাডীয় প্রধানমন্ত্রীর ভ্যাকসিন চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি আশ্বাস দিয়েছেন, ভারত কানাডার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, যেমনটি ইতোমধ্যে অনেক দেশের জন্য করা হয়েছে।
Was happy to receive a call from my friend @JustinTrudeau. Assured him that India would do its best to facilitate supplies of COVID vaccines sought by Canada. We also agreed to continue collaborating on other important issues like Climate Change and the global economic recovery.
— Narendra Modi (@narendramodi) February 10, 2021
বর্তমানে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমতির বিষয়ে দু’টি আবেদন পর্যালোচনা করছে কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত অক্টোবরেই দেশটিতে নিজেদের ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা কানাডা। আর গত মাসে কানাডার ভেরাইটি ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে যৌথভাবে আবেদন করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট, যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের অন্যতম উৎপাদক। অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে দুই কোটি ডোজ নেওয়ার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কানাডা সরকার। যদিও এখন পর্যন্ত শুধু মডার্না ও ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনই ব্যবহার করতে পেরেছে তারা। তবে ফাইজার সম্প্রতি কানাডায় ভ্যাকসিন সরবরাহ দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রতিষ্ঠান মডার্নাও উৎপাদন সমস্যার কথা জানিয়ে গত সপ্তাহে পাঠানো চালানে ২০ শতাংশ ভ্যাকসিন কম দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন কি না তা জানতে চাইলে জাস্টিন ট্রুডো ভারতকে ‘বড় অংশীদার’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে পারি যে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত বড় অংশীদার হয়ে উঠেছে, সেটা সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে একসঙ্গে কাজ করাতেই হোক বা অন্য ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে। কানাডীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন এ দুই নেতা। মোদি-ট্রুডোর ফোনালাপে জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারসহ ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে কানাডার রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিবিসি।
Facebook Comments