হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে সিবিআইয়ের তরফেও আগাম ব্যবস্থা হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর অর্থ, যদি কোনও পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়, তবে সিবিআইকে না জানিয়ে এক তরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। যদিও তৃণমূলের আরেকটি সূত্র মারফত্ অবশ্য জানা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট নয়, হাইকোর্টেই করা হবে আইনি লড়াই। যদিও আঁটঘাট বেধেই আইনি লড়াইয়ে নামতে চাইছে সিবিআই।
সোমবারই সিবিআই নারদ মামলায় রাজ্যের তিন বিধায়ক ও প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় আগাম ব্যবস্থা হিসেবেই সুপ্রিম কোর্টে আগাম ক্যাভিয়েট দাখিল করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
শাসকদল সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাইকোর্টের গতকালের নির্দেশের পুনর্বিবেচনা করতে কলকাতা হাইকোর্টেরই দ্বারস্থ হচ্ছেন ধৃত তৃণমূলের তিন বিধায়ক। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও একই আবেদন করেছেন। মঙ্গলবারের মধ্যেই যাতে শুনানি হয় সেই আবেদনও করা হচ্ছে। আপাতত হাইকোর্টে আইনি লড়াই করে তাদের সিবিআইয়ের হেফাজত থেকে মুক্ত করে আনাই লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের। সুপ্রিম কোর্টে না যাওয়ার সিদ্ধান্তই আপাতত নেওয়া হয়েছে। কারণ বিষয়টিকে সুপ্রিমকোর্টে নিয়ে গিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে আর আলোচনা চাইছে না বাংলার শাসক দল।
এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবার সোচ্চার হল তৃণমূলের তিন নেতা-মন্ত্রী সহ চারজনের গ্রেফতারির ঘটনায়। শিবসেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে পড়েছে কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় কংগ্রেসও। বাংলা থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সদস্য তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ বেআইনি এই গ্রেফতার। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও দাবি করেছেন, এটা কি গ্রেফতার করার সময়? একই বক্তব্য বাম নেতৃত্বের। একধাপ এগিয়ে সিপিআই(এমএল) নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য্য সদলবলে মঙ্গলবার ধারণায় বসছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ চার হেভিওয়েট রাজনীতিবিদের গ্রেফতারের ঘটনায়। আসলে পুরো বিষয়টি বুঝে এই মহামারীর সময় কেন এতো সক্রিয় সিবিআই, দেশের রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন।
Facebook Comments