কয়েকদিন আগে এসএসসি ভবন ঘেরা করা হয়। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দুদিন ধরে চলছে তল্লাশি। তল্লাশির সময়, সিবিআই আধিকারিকরা এসএসসি অফিস থেকে প্রচুর নথি, ফাইল এবং 8-10টি হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখান থেকেই দুর্নীতির রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কর্তারা।
এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অফিস সিল করে দিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, শনি ও রবিবার সিল খুলে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। সেখান থেকে এসব সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই প্রথম এসএসসি অফিস থেকে নথি বাজেয়াপ্ত করল CBI। এখন হার্ডডিস্ক ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, পরেশ অধিকারী এবং পার্থ চ্যাটার্জিকে এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ইডি আধিকারিকরা তাদের আয়ের তথ্য আয়কর দফতরে পাঠিয়েছেন। চাকরির বদলে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছেন ইডি কর্তারা। তারপর তদন্ত করে এফআইআর দায়ের করা হবে।
বাজেয়াপ্ত নথি থেকে কী পাওয়া যাবে? টাকা কোথায় গেল তা জানা যাবে। আর সেটা হয়ে গেলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিভাবে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কলকাতা হাইকোর্ট তদন্ত শুরু করার পর থেকেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে একজন সিআরপিএফ গার্ড রাখা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে সিবিআই এসএসসি ভবনের ডাটাবেস রুমও সিল করে দিয়েছে।
Facebook Comments