পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাথসাগর বিদ্যাপপীঠের (বালক)১৭৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবস ,বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও প্রাক্তনী পুনর্মিলন উৎসব সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো দুদিন ধরে। এই উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে বিদ্যা লয়ের পতাকা উত্তোলনের পর একটি বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরী শহর পরিক্রমা করে। মূল উৎসবের উদ্বোধন করেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের মেদিনীপুর শাখার স্বামী মিলনানন্দজী মহারাজ, উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে বিদ্যাালয় শিক্ষা দপ্তরের গ্রান্ট-ইন-এড বিভাগের ডেপুটি ডাইরেক্টর আলোক সরকার, শিক্ষা দপ্তরের এডমিনিস্ট্রেসন বিভাগের ডেপুটি ডাইরেক্টর পূর্ণচন্দ্র জানা, দিল্লী আইআইটির অধ্যাপক সুবীর কুমার সাহা, বিদ্যািলয়ের প্রধান শিক্ষক অরূপ কুমার ভূঁঞ্যার, পরিচালন সমিতির সভাপতি সুকুমার পড়্যাি, সাংস্কৃতিক বিভাগের পক্ষে শিক্ষক অনুকূল চন্দ্র দাস ও শিক্ষিকা মৌসুমী দে। সারাদিন ধরে কুইজ সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন ছাত্র ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রকাশিত হয় বিদ্যাধলয়ের বার্ষিক পত্রিকা “স্ফুলিঙ্গ”। বুধবার বিকেলে বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী দের সাথে একটি প্রীতি ভলিবল ম্যারচ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় ছাত্ররা পরিবেশন করে মনোজ মিত্রের লেখা “চোখে আঙুল দাদা” নাটকটি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীরা উপস্থাপন করেন বৈদ্য নাথ মুখোপাধ্যায়ের নাটক “সমর সর্দার নিবাস ক্যাানিং-বাড়ি আছেন”।
বৃহস্পতিবার প্রথম পর্বে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষক নির্মল কুমার মাইতি, বিদ্যা লয়ের কৃতি প্রাক্তনী দিল্লি আই আই টির অধ্যাাপক সুবীর কুমার সাহা, প্রধান শিক্ষক অরূপ কুমার ভূঞ্যাঁঅ প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে ছাত্ররা পরিবেশন করে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের “ভীমবধ” নাটকটি। সন্ধ্যায় প্রাক্তনীর পুনর্মিলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তনীর সভাপতি সুকুমার পড়্যাহ, প্রাক্তনীর সম্পাদক অরুণ কুমার চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ তন্ময় অধিকারী, প্রধান শিক্ষক অরূপ ভূঞ্যাঁা, প্রণব চক্রবর্তী, শান্তিময় দত্ত, বিশ্বনাথ পান্ডব প্রমুখ। স্মৃতি চারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। গানে সবাইকে মাতিয়ে দেন মাতুয়ার মল্লিক, প্রলয় বিশ্বাস, সম্ভ্রম চক্রবর্তী, কুন্দন দাস, করুন দাসের মতো প্রাক্তনীরা। প্রাক্তনীর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রণব চক্রবর্তী ও অভিজিৎ দাস। বিদ্যাযলয়ের প্রধান শিক্ষক অরূপ কুমার ভূঞ্যাঁ জানান আগামী বছর বিদ্যারলয়ের ১৭৫ বছর পূর্তি হবে এবং প্রাক্তনীর ২৫ বছর পূর্তি হবে, এই দুই অনুষ্ঠানকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিতে এখন থেকেই উদ্যোেগ নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যারলয়ের ক্রীড়া শিক্ষক উৎপল দাস জানান এবারের অনুষ্ঠানের মঞ্চ উৎসর্গ করা হয়েছিল বিদ্যাপলয়ে দুই স্মরণীয় প্রাক্তনী স্বাধীনতা সংগ্রামী সনাতন রায় ও বিমল দাশগুপ্তর নামে। এই দুই বিপ্লবীর পরিবারের সদস্যরাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ছবি সৌজন্যে- বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ
Facebook Comments