কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩৫৫। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত ১৩ হাজার ১৭৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১০ লক্ষ ৩০ হাজার ১৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ১.২৭ শতাংশ। বর্তমানে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ্য ৩৪ হাজার ২৩৫ জন। অর্থাৎ মোট রোগীর ০.৩১ শতাংশ রোগী এখন বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী কমেছে ১৪ হাজার ১২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সেই সুস্থতার সংখ্যাটা তাঁর আগের দিনের তুলনায় আরও কিছুটা কমেছে। সুস্থ হয়েছেন ২৬ হাজার ৯৮৮ জন। ফলে দেশে এখন সুস্থতার সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৪ কোটি ২২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৮৪-এ। সুস্থতার হার বর্তমানে রয়েছে ৯৮.৪৯ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৩০২ মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এর মধ্যেই কেরলের মৃত্যুতথ্য পরিমার্জনের ব্যাপারটা রয়েছে। এর ফলে ভারতে এখন মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ২২৬ জনের। ভারতে মৃত্যুহার বর্তমানে রয়েছে ১.২০ শতাংশ।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্থানীয়স্তরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সামাজিক, খেলাধুলা, বিনোদন, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান অথবা মেলাগুলোতে অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। গণপরিবহণ, শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, স্পা, রেস্তোঁরা এবং পানশালার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরও শিথিল করা যেতে পারে। একই সঙ্গে স্কুল, কলেজ, অফিস এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজকর্মের ক্ষেত্রেও নিয়ম শিথিল করা যাবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের জারি করা নির্দেশিকাটি পাঠানো হয়েছে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে। তবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্যানিটাইজেশনের মতো প্রাথমিক সুরক্ষাগুলি সমান ভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
Facebook Comments