মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। মমতা কী করে আহত হয়েছিলেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। বিরুলিয়ায় আহত হওয়ার পর এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়েই ভোটের জন্য প্রচারে নেমেছেন মমতা।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আহত হওয়ার ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীদলীয় নেতানেত্রীরা। মমতা আহত হওয়ার ঘটনার জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার এবং পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা অধিকর্তাকে বদলি হতে হয়। এ ব্যাপারে প্রতিবেদন চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। দুই দিনের মধ্যে ঘটনা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়া হয়।
তৃণমূল যদিও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে পাল্টা সরব হয়। এদিকে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। ১৫ দিনের মধ্যে আবারও রিপোর্ট দিতে বলা হয় কমিশন থেকে। পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক পৃথকভাবে তদন্ত করে কমিশনে রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্টে ‘হামলার তত্ত্ব’ ছিল না বলে জানা গেছে।
আহত হওয়ার ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় এফআইআর করেছিলেন মমতা ব্যানার্জির নির্বাচনী অ্যাজেন্ট শেখ সুফিয়ান। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সিআইডির কর্মকর্তারা নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ ধাক্কা দিয়েছিলেন, নাকি ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Facebook Comments