চীফ জাস্টিস রঞ্জন গগৈ আগামী ১৭নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেবেন। আর তার কার্যকালের শেষ ৮দিন তাকে রায় দিতে হবে ৫টি হাইপ্রোফাইল মামলার। আর এই মামলা গুলির মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত মামলা গুলি হলো অযোধ্যা মামলা, রাফাল রিভিউ মামলা এছাড়াও শবরীমালা, প্রধান বিচারপতির অফিসকে তথ্যের অধিকারের আওতায় নিয়ে আসা, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, ফিনান্স বিল সংক্রান্ত বিতর্ক।
এই ৬টি মামলার মধ্যে সব থেকে বেশি আলোচিত অযোধ্যা মামলা। নজিরবিহীনভাবে টানা ৪০ দিন ধরে এই মামলার শুনানি চলেছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। যেখানে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফে মামলার রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। নিজের কর্মজীবনে যাতে এই মামলার রায় তিনি দিয়ে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে দ্রুত শুনানি পর্ব শেষ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মতো একটানা ৪০ দিন শুনানি চলেছিল এই মামলার।
অযোধ্যা মামলার পরেই রয়েছে রাফাল রিভিউ মামলার রায়। গত ১০ মে এই মামলার রায় রিজার্ভ করেছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। যেখানে প্রধান বিচারপতির সহযোগী হিসেবে ছিলেন আরও দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কওল ও বিচারপতি কে এম জোসেফ।
আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ, এমএল শর্মা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি ও যশোবন্ত সিংদের তরফে দায়ের করা মামলায় রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন মামলাকারীরা। সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রথমে এই দাবি খারিজ করা হলেও পরে মামলাকারীরা রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন। এর পরে সেই রিভিউ মামলার শুনানি হয়, তার পরে রায় স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট।
এর পাশাপাশি রয়েছে কেরলের শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত রিভিউ মামলার রায়দানের বিষয়টিও। শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সব বয়সের মহিলারা। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে।
এর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র নিয়ে কী ভাবছে শীর্ষ আদালত, তারও রায়দান করে জানাতে হবে প্রধান বিচারপতি গগৈকে।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments