নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার ক্ষমতাসীন তৃণমূলের দুই মন্ত্রীসহ চারজনই অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন। সোমবার (১৭ মে) ব্যাঙ্কশাল আদালতে বিশেষ সিবিআই আদালতে এই শুনানি চলে। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভার্চ্যুয়াল শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। আদালতে গ্রেফতারদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন তৃণমূল সংসদ সদস্য আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদ কাণ্ডে বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি গ্রেফতার চারজনের জামিনের আবেদন করেন। যদিও এর বিরোধিতা করে সিবিআই। সিবিআই পক্ষের আইনজীবী গ্রেফতারদের জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানায়। সিবিআই পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেখান, গ্রেফতাররা বাইরে বেরিয়ে প্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারেন। বিবাদী পক্ষে আইনজীবীরা পাল্টা যুক্তি দেখান, ফিরহাদ কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক। সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তাকে প্রয়োজন। অন্য দিকে ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশন নিয়েই প্রশ্ন তোলেন শোভনের আইনজীবী। আদালতে চার্জশিটও জমা দেয় সিবিআই।
বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিদের কীভাবে গ্রেফতার করা হলো আদালতে সোমবার সেই প্রশ্নও তোলেন কল্যাণ। গ্রেফতারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কল্যাণের মন্তব্য, রাজ্যপাল যা করেছেন পিছনের দরজা দিয়ে করেছেন। কোভিড পরিস্থিতিতে গ্রেফতার নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথাও তুলে ধরা হয় আদালতে।
সোমবার সকালেই নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা সাবেক মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। এই তিনজনের সঙ্গে তালিকায় ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও।
Facebook Comments