হাওড়ার একটি পাইকারি মাছের বাজারের ডিপ ফ্রিজার থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রহস্যজনক সেই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে স্টলের এক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন। সূত্র জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম ছোটন রাই। তিনি বিহারের বাসিন্দা বলে এরই মধ্যে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই ছোটনকে হত্যা করা হয়। ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন পাইকারি মাছ বাজারের ৩১নং স্টলের একটি ফ্রিজার থেকে ছোটনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের মতে, সে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে মালবাহকের কাজ করতেন। পুলিশের দাবি, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় সুরিন্দর নামে সেই স্টলের এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। কেননা সুরিন্দরের সঙ্গে পূর্বপরিচিত ছিলেন এই ছোটন। এমনকি তারা বিহারের একই গ্রামের বাসিন্দা। যে কারণে পুরনো বিবাদ থেকে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। তাছাড়া ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছেন কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ দিকে হাওড়া থানার পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে সুরিন্দর ও ছোটনের মধ্যে শেষবার সাক্ষাৎ হয়েছিল। এ সময় কোনো এক বিষয় নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। মূলত তখনই উত্তেজনার বশে ভারি অস্ত্রের মাধ্যমে ছোটনের মাথায় আঘাত করে সুরিন্দর। আর এতেই প্রাণ হারায় ছোটন। তখন পরিস্থিতি সামলে নিতে মরদেহটি দোকানের একটি খালি ফ্রিজারের ভেতর ভরে রাখে সে। অপর দিকে স্টলটির মালিক সুনিল সিং জানান, প্রায় তিন বছর ধরে মাছ প্যাকিংয়ের কাজ করছেন অভিযুক্ত সুরিন্দর রাই। গত শনিবার দোকান বন্ধের আগে শেষবারের মতো ফ্রিজারটি পরিষ্কার করা হয়।
Comments