দিল্লিতে লাভ-জিহাদের নামে নৃশংসভাবে খুন হল আরেক হিন্দু মেয়ে। মুম্বাই থেকে দিল্লি আসার পর আফতাব আমিন পুনাওয়ালা তার বান্ধবী শ্রদ্ধাকে নির্মমভাবে খুন করে। এরপর তার লাশ ৩৫ টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ এখন আফতাবের মাধ্যমে নিহত শ্রদ্ধার টুকরোগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, যেগুলো আফতাব তাকে হত্যার পর বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়েছে।
শ্রদ্ধার বাবা দিল্লির মেহরাউলি থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বাবা বিকাশ মদন পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি পরিবারসহ মহারাষ্ট্রের পালঘরে থাকেন। তাঁর 26 বছর বয়সী মেয়ে শ্রদ্ধা মুম্বাইয়ের মালাদে অবস্থিত একটি বহুজাতিক কোম্পানির কল সেন্টারে কাজ করতেন। এখানেই আফতাব আমিনের সঙ্গে শ্রদ্ধার পরিচয় হয়। দুজনেই একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করেন এবং লিভ-ইন রিলেশনে থাকতে শুরু করেন। পরিবার যখন এই সম্পর্কের কথা জানতে পারে, তারা প্রতিবাদ শুরু করে, যার পরে আফতাব এবং শ্রদ্ধা মুম্বাই ছেড়ে দিল্লিতে থাকতে শুরু করে।
বাবা জানান, পরে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর মেয়ে মেহরাউলির ছাতারপুর এলাকায় থাকে। তিনি ফেসবুকে আপলোড করা ছবি থেকে আরও জানতে পারেন যে শ্রদ্ধাও হিমাচল প্রদেশ বেড়াতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তারপর থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেটাও বন্ধ হয়ে আসছিল। এরপর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় ৮ নভেম্বর সরাসরি ছতরপুরের ওই ফ্ল্যাটে চলে যান, যেখানে মেয়ে ভাড়া থাকতেন। সেখানে তালা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিকাশ মেহরাউলি থানায় পৌঁছে পুলিশকে অপহরণের কথা জানায় এবং এফআইআর দায়ের করে।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং আফতাবকে গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আফতাব জানান, শ্রদ্ধা প্রায়ই তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত, তাই ১৮ মে ঝগড়া হলে তিনি শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর টুকরো করে তিনটি ভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। বর্তমানে অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো উদ্ধারে ব্যস্ত পুলিশ। একই সময়ে, পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং করাত দিয়ে ৩৫টি টুকরো কেটে ঘরে রেখে দেয়। এ জন্য আফতাব একটি নতুন বড় ফ্রিজ কিনে ১৮ দিন বাড়িতে রাখেন। রাত ২টার দিকে আফতাব এক এক করে লাশের টুকরোগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে করে ফেলে দিত।
সূত্রঃ ZEENCR
Facebook Comments