সাহিল খান 16 বছর বয়সী একজন সাক্ষীকে ছুরিকাঘাত করে যে নির্মমতা দিয়ে হত্যা করেছিল তাতে সমগ্র জাতি হতবাক। মানুষ কিভাবে এমন পশু হয়ে উঠতে পারে? একের পর এক শরীরে ২০টির বেশি জখম করেছে সে। ছুরি দিয়ে সন্তুষ্ট না হলে পাথর দিয়ে অনেকবার শরীর পিষে ফেলে। 24 ঘন্টার মধ্যে এই খুনিকে বুলন্দশহর থেকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। আজ রোহিনী আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায়। এরই মধ্যে সাহিলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রকাশ পাচ্ছে তার কর্মকাণ্ড।
ইনস্টাগ্রামে একটানা ভিডিও পোস্ট করতেন তিনি। তার শেষ রিল 6 সপ্তাহ আগে থেকে। কেউ কেউ গালিও ধারণ করে। একটি ভিডিওতে, তাকে হুক্কা ধূমপান করতে এবং টিভিতে ‘দিল্লি মে করতা বদমাশি…’ গানটি শুনতে দেখা যায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, একদিন আগে সাক্ষী ও সাহিলের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। সাক্ষী সাহিলকে তার কাছ থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করেছিল। বলা হচ্ছে সাক্ষীর হাতে অন্য ছেলের ট্যাটু দেখেছিলেন সাহিল খান, যার কারণে তিনি মেজাজ হারিয়েছিলেন। সাহিলের হাতে কালাভা দেখার পর, পুলিশ মামলার ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে। কেউ কেউ বলছেন, এলাকার মানুষ তাকে ‘সানি’ নামেই চিনত। এটাও বলা হচ্ছে যে সাক্ষী সাহিলের বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন এবং সে কারণেই তিনি নিজেকে তার থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন। স্পেশাল কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক বলেন, তদন্তে আমরা কোনো দিক ছাড়ব না। মৃত্যুদণ্ডসহ এ মামলায় কঠোর শাস্তির চেষ্টা থাকবে। খান কিছুদিন আগে একটি লম্বা ছুরি কিনে হত্যায় ব্যবহার করেছিলেন। সাক্ষীর এক বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছেন যে সাহিল কেন তার সঙ্গে কথা বলেন না বলে রাগ করতেন।
প্রবীণ নামের একটি ছেলের সাথে সাক্ষীর বন্ধুত্ব তার সাথে ভালো হয়নি। শনিবার মারামারির পর তার মাথা রক্তে ভেসে যায়। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে সাক্ষীর অপেক্ষায় সাহিল রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। সাক্ষী একটি জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দিতে আসে, সাহিল তাকে থামায় এবং রাত 8.40 টায় তাকে আক্রমণ করে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাক্ষীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর সাহিল রিথালা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। সেখানে অস্ত্র ছুড়ে বাসে করে বুলন্দশহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের পরপরই ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন সাহিল।
তবে ফোনটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বুলন্দশহর যাওয়ার জন্য দুটি বাস পরিবর্তন করেছিলেন। পুলিশের অনেক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেননি তিনি। তিনি সম্ভবত পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এমন করছেন। সাহিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, অপরাধের ১০ মিনিট পর দলটি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। স্থানীয় লোকজন ফোনে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
সূত্রঃ NBT
Facebook Comments