অকাল বোধনের মত অকাল বৃষ্টিতে আকাল জনজীবন। তবে বৃষ্টির ও সুন্দর একটা রুপ আছে। বৃষ্টি মানে ছাদে ভেজা,টিনের চালে টাপুরটুপুর সারা দুপুর বাজনা। বৃষ্টি মানে বর্ষাকাল।প্রেমের ঋতু মানে বর্ষা না হয় বসন্ত। বর্ষা নিয়ে কমবেশি আবেগ প্রবন আমরা।
বৈষ্ণব পদাবলীর কবিদের কাব্য, চণ্ডীদাসের লেখায়,নজরুল, মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথের গান কবিতায় বর্ষা এসেছে বারে বারে।কখনও প্রেমে কখনও বিরহের বর্ণনায়। বর্ষা নিয়ে আবেগ জড়ানো কত গান কবিতা।
মনে করিয়ে দেয় স্মৃতিবিজড়িত ছোটবেলা। স্কুল পালিয়ে বৃষ্টিতে ভেজা, নদীতে সাঁতার,মায়ের বকুনি। আজকাল ব্যস্ত শহরে মানুষ আমরা। বৃষ্টি নিয়ে অনেক সুখস্মৃতি থাকলেও স্মৃতিচারনের সময় হয়না। তবে মাঝে মাঝে রৌদ্রের সাথে মনকষাকষি হলে বারান্দায় বসে বৃষ্টি দেখা আর মায়ের হাতের রান্না মিস হয়না আমার…….
ঢাকাইয়া ইলিশ খিচুড়ি
গোবিন্দ ভোগ চাল: ২ কাপ
মুগ ডাল: ২ কাপ
মুশুরি ডাল : ১/৪ কাপ
সরষের তেল: ১/২ কাপ
আদা কুচি: ১/২ চা চামচ
রসুন কুচি: ১ চা চামচ
তেজপাতা: ২ টো
গরম জল : ৬ কাপ
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
কাঁচালঙ্কা : ৮/৯ টা
টক দই: ৪ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো : ২ চা চামচ
নুন: স্বাদমতো
সরিষার তেল: ১/২ কাপ
প্রণালী : টক দই সামান্য ফেটিয়ে নিয়ে নুন, হলুদ মিশিয়ে মাছের টুকরোতে ভালো করে মেখে মেরিনেট করে ঢেকে রাখব ৩০ মিনিট। তেল গরম করে পেঁয়াজ, লঙ্কা একসাথে ছেড়ে দিয়ে ভেঁজে নামিয়ে নেব।
চাল ও ডাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে, তেল দিয়ে বাকি সব উপকরণ একসাথে ভালো করে মাখিয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে গ্যাস ওভেনে বসাব। ফুটে উঠলে খিচুড়ি নেড়ে দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করব। খিচুড়ির জল কমে এলে ওপর থেকে কিছুটা খিচুড়ি তুলে মসলা মাখানো ইলিশ খিচুড়ির উপর সাজিয়ে খানিকটা পেঁয়াজ ভাজা দেব এবং উপরে তুলে রাখা খিচুড়ি মাছের ওপর দিয়ে ঢেকে দেব বাকি পেঁয়াজ ভাজা ছড়িয়ে দিয়ে হাড়ির মুখ ঢাকনা দিয়ে ভালো করে বন্ধ করে ৩০-৩৫ মিনিট দমে রেখে রান্না করতে করব। নামিয়ে নিয়ে সাবধানে খিচুড়ি ও মাছ প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন করব গরম গরম।
Facebook Comments