আলজেরিয়ার বাটনা শহরে জন্ম আরসালানের। ১৯৫৫ সালে জন্ম তার। পড়াশুনা শেষ করেছেন আলজিয়ার্স ইউনিভার্সিটি থেকে। এরপর ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিহালদামুস কোম্পানিতে। কিন্তু ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হিসেবে খেয়ালি মনের মানুষ ছিলেন আরসালান। বেশি দিন জব চালানোর মত মানসিকতা ছিলনা তার।
ফলে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে বের হলেন ভ্রমণে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো দেখার পর তিনি আবিষ্কার করলেন যে, অনেক জায়গায় বাচ্চাদের পড়াশুনো করার মত স্কুল ও শিক্ষায়তন নেই। কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে বাটনায় ফিরলেন তিনি। বাবাকে জানালেন মনের ইচ্ছে। নিজের জমানো টাকা দিয়ে তায়ারেত শহরে থেকে ৬০ মাইল দক্ষিণে বুসরা গ্রামে স্থাপন করলেন একটি স্কুল। সবার সহায়তায় অল্প দিনেই সেখানে প্রচুর শিক্ষার্থী ভর্তি হল। এরপরই আরো কিছু গ্রামে তেমনই উদ্যোগ নিলেন তিনি।
কিছুদিনের মধ্যেই সেটিফ, আনাবা, গুয়েলমা, ওরান, এল তারিফ প্রভৃতি শহরের অন্তর্গত গ্রামগুলোতেও তিনি প্রতিষ্ঠা দিতে লাগলেন একটির পর একটি স্কুল। স্থানীয় জনগণও এগিয়ে এলেন তার সহায়তায়। ১৯৮৫-২০১৫ সালের মাঝে সবমিলিয়ে মোট ৩৭টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি। আরসালানের উদ্যোগে পরে সরকার প্রচুর সহায়তা দিতে থাকে। বেসরকারি ফান্ডও পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে স্কুলগুলো অবশ্য সরকারিকরণ হয়ে গেছে। তারপরও তিনি সম্মানসূচক প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানেই যাতায়াত করেন। সারাদেশে তার মহান কীর্তির জন্য ২০১৭ সালে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান দেয়া হয়। এখন কিছু জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর স্বপ্ন দেখেন আরসালান। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানিয়েছেন এই মহান উদ্যোক্তা।
Facebook Comments