‘অপরাধীদের ন্যায্যতা ও সুরক্ষার জন্য বহুপাক্ষিক ফোরামের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বুধবার নিউইয়র্কে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কারের বহুপাক্ষিকতার জন্য নিউ ওরিয়েন্টেশন’ বিষয়ক UNSC অধিবেশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এই সময়, তিনি বলেন যে, ৭৭ তম UNGA-তে আমরা সবাই সংস্কারের পক্ষে ক্রমবর্ধমান মনোভাব প্রত্যক্ষ করেছি। আমাদের চ্যালেঞ্জ হল এটিকে কংক্রিট ফলাফলে রূপান্তর করা।’ তিনি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে সাড়া দিচ্ছে। কিন্তু অপরাধীদের ন্যায্যতা ও সুরক্ষার জন্য বহুপাক্ষিক ফোরামের অপব্যবহার করা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, ভারত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করছে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর প্রতিবেশী দেশ চীন ও পাকিস্তানকে তীব্রভাবে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘যখনই আন্তর্জাতিক স্তরে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আসে, চীন জাতিসংঘে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে না।’
পাকিস্তান ও তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের রক্ষা করে, চীন বরাবরই এটা করে আসছে। তিনি বলেন, ভারত যখনই কোনও সন্ত্রাসীকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ঘোষণা করার কথা বলে, চীন এতে বাধা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে সাজিদ মীর, আবদুল রউফ, আবদুল মক্কি, শহীদ মেহমুদের মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা। এ কারণেই ভারত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে চীনকে আক্রমণ করার কোনও সুযোগ হাতছাড়া করে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এদিন জাতিসংঘের লনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করেন। এই সময় জয়শঙ্কর বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আমাদের পথ দেখাতে পারে।’
এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা করোসির সাথে দেখা করেন। এই বৈঠকের সময়, ভারতের জি-২০ চেয়ারম্যান পদের লক্ষ্য এবং বহুপাক্ষিকতা সংস্কারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। তার একটি ট্যুইট বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, ‘নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতির সাথে দেখা করতে পেরে আনন্দিত। UNSC অভিজ্ঞতা, আমাদের জি-২০ প্রেসিডেন্সির লক্ষ্য এবং বহুপাক্ষিকতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
Facebook Comments