সংকটে পড়া ইয়েস ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট (ইডি) । ব্যাংক কেলেঙ্কারির অভিযোগে প্রায় এক দিন ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার ভোররাতে অর্থপাচারের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইডির কর্মকর্তাদের সূত্রে খবর, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) বিধান অনুযায়ী ভোররাত ৩টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাতে রানার মুম্বাইয়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা । রাতভর অভিযান চালানোর পর শনিবার জেরার জন্য তাকে মুম্বাইয়ের বেলার্ড এস্টেটে ইডির দপ্তরে নেওয়া হয়। এখানে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রানা বাড়িতে তল্লাশি চালানো সময় ইডির কর্মকর্তারা জানতে পারেন, কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত দেওয়ান হাউজিং ফিন্যান্স লিমিটেড (ডিএইচএফএল) এর মালিক ধীরাজ ওয়াধাবনের সংস্থা আর কে ডব্লিউ ডেভেলপার্সকে ৭৫০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। এই কে ডব্লিউ ডেভেলপার্সের সঙ্গে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের একসময়ের ডান হাত বলে পরিচিত ইকবাল মেননের (ইকবাল মির্চি) কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল, ইডি এমন খবর আগেই পেয়েছিল।
দিল্লি ও মুম্বাইয়ে রানার তিন কন্যার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রানা ইয়েস ব্যাংকের শীর্ষ পদে থাকার সময় লোকসানে ডুবে থাকা বহু সংস্থাকে ঋণ মঞ্জুর করেছিল ব্যাংকটি। ঋণ পরিশোধ না হওয়ার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও রানার নির্দেশে ঋণ মঞ্জুর করতে বাধ্য হয়েছিলেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। বেসরকারি ইয়েস ব্যাংকের পরিচালনায় আর্থিক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সামনে আসার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরবিআই ও কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাংকটির লেনদেন নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেয়। এরপর গ্রাহকদের টাকা তোলা ও ব্যাংকটির ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করা হয়। এতে টাকা তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ব্যাংকটির গ্রাহকরা।
শনিবার গভীর রাতে করা এক টুইটে ইয়েস ব্যাংক জানায়, ব্যাংকের এটিএম কার্ড ব্যবহার করে তাদের গ্রাহকরা ইয়েস ব্যাংক ও অন্যা ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
Facebook Comments