সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে ইডির সমন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বুধবার কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সমন জারি করেছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এই মামলা বন্ধ করে দিয়েছিল।
৮ জুন সোনিয়া গান্ধীকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, গত ৪৮ ঘন্টা আগেই সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রাহুলকে ২ বা ৩ জুন উপস্থিতির জন্য একটি তারিখ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তার অফিসের তরফে রাহুলের বাইরে থাকার কথা উল্লেখ করে ৫ জুনের পরে একটি তারিখ চেয়েছে। আপাতত ৮ই জুন হাজির হওয়ার কথা সোনিয়া গান্ধীর।
তদন্তকারী সংস্থার পাঠানো সমন নিয়ে সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভারতীয় জনতা পার্টি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ভয় দেখানোর জন্য কাঠপুতুল এজেন্সির ব্যবহার করছে। কংগ্রেস নেতা এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি সরকারকে লক্ষ্য করে বলেছেন যে, ‘বিজেপি রাজনৈতিক বিরোধীদের ভয় দেখানোর জন্য এই কাঠপুতুল এজেন্সির ব্যবহার করছে। ন্যাশনাল হেরাল্ডের নিজস্ব একটি ইতিহাস রয়েছে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় শুরু হয়েছিল। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফারুক আবদুল্লাহ সহ সব বিরোধী নেতা কেন্দ্রীয় সংস্থার নিশানায় রয়েছেন। সিংভি আরও বলেন, সমস্ত কোম্পানি ঋণকে ইক্যুইটিতে রূপান্তর করে ব্যালেন্স শীট শুধরে নেয়।’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিংভি আরও বলেন, ‘২০১৫ সালে ইডি ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু সরকার এটি পছন্দ করেনি এবং সংশ্লিষ্ট ইডি আধিকারিকদের সরিয়ে দিয়েছে। সরকার নতুন আধিকারিকদের নিয়ে এসেছে এবং তারা মামলাটি আবার খুলে দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি এবং অন্যান্য বড় সমস্যা থেকে মনোযোগ সরাতে এটি করা হয়েছে।’
ইডি দ্বারা জারি করা সমনের সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘১৯৪২ সালে যখন ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা শুরু হয়েছিল, তখন ব্রিটিশরা এটিকে দমন করার চেষ্টা করেছিল, আজ মোদী সরকারও তাই করছে এবং এর জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ব্যবহার করা হচ্ছে। ইডি আমাদের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে নোটিশ দিয়েছে।’
Facebook Comments