কলকাতায় সম্প্রতি ২রা এপ্রিল থেকে ৪ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত হল প্রথম ধরণের একটি লাইফস্টাইল এবং ফ্যাশন প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য ছিল নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়নে উদ্বুদ্ধ করা, যাতে তাদের অন্যের উপার্জনে নির্ভরশীল না হতে হয় এবং তারা সরাসরি ক্ষুদ্র ব্যবসায় অবদানকারী হয়ে উঠতে পারে স্বল্প পরিমাণ বিনিয়োগের মাধ্যমে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল যে তা ঘরে বসেই সম্ভব।
ইব্রাহ বাঙ্কোয়েটে সম্প্রতি কয়েকজন সফল মহিলা ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল একটি আলোচনাসভা তাদের নিয়ে যারা নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদান রেখেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন সমাজকর্মী সায়রা শাহ হালিম, মিসেস ইন্ডিয়া ২০১৮, লোপামুদ্রা হালদার, সফল ব্যবসায়ী ফারাহ খান এবং সেলিব্রিটি মোটিভেশনাল স্পিকার নয়না মোড়ে, আলোচনা সভার সঞ্চালক নিখাত জুনাইদ প্রমুখ। আলোচনার মূল বিষয় ছিল “হোমপ্রেনিওর”-দের উত্থান এবং সমাজের তার প্রভাবে। কভিড-১৯ অতিমারি আমাদের সকলকেই বাধ্য করেছে আর্থিকদিক থেকে সর্বদা প্রস্তূত থাকার জন্য যেকোনো কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলায়। বহুমানুষ কর্মহীন হয়েছেন অতিমারি রুখতে লকডাউনের কারণে, যা এই বিষয়টিকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। উপার্জনের দ্বিতীয় উপায় নির্ণয় করে রাখা একটি অত্যন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এই পরিস্থিতিতে যেখানে বিনিয়োগ নিতান্তই কম।
মহিলাদের পিছনে ফেলে আসা স্বপ্নগুলি অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করা এবং তাদেরকে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হতে সহায়তা করা একটি কঠিন ভাবনা ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত সফল ভাবে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” করা জনপ্রিয়তা এবং প্রাসঙ্গিকতা লাভ করেনি। যথাযথ প্ল্যাটফর্ম এবং সঠিক পথ বাতলে দেওয়া উভয়ই এ জাতীয় কাজে অত্যন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের বিপুল সংখ্যক মহিলা নিজেদের উপার্জনের সুযোজের অপেক্ষায় থাকেন যা খুব সহজেই সম্ভব একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম পেলে। নিখাতের প্রদর্শনী তাদের এইভাবেই সহায়তা করতে উদ্যোগী।
সায়রা শাহ হালিম এপ্রসঙ্গে বলেন, “আমি সবসময়ই মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বতন্ত্র হওয়ার বিষয়ে সোচ্চার ছিলাম। মহিলারা যখন স্বাবলম্বী হন, তারা একইভাবে পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরী করতেও সক্ষম হবেন প্রগতিশীল সমাজ গঠনের দিকে যেখানে সাম্যতা উদযাপিত হয়।”
পরিচালক নিখাত জুনায়েদ বলেন, “আমরা গুণী এবং পরিশ্রমী মহিলাদের কাজ প্রদর্শন করার জন্য প্ল্যাটফর্ম প্রদান করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। নারী ক্ষমতায়নের অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণ এবং ছোট ব্যবসা ও শিল্পকে তাদের সমর্থনের মাধ্যমে উত্সাহিত করার বিষয়েও জোর দিতে উৎসুখ। ”
গৃহিণীদের ঘরে বসে উপার্জনের উদ্যোগে সহযোগিতা “ঈদ সুখ”-এর

Facebook Comments