মালিকানা গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন টুইটারের নতুন মালিক এলন মাস্ক। তবে এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে নেননি টুইটারের কর্মী থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতিই বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। এই জনরোষের মুখে পড়ে রোববার টুইটার ব্যবহারকারীদের সামনে বড় প্রশ্ন রাখেন মাস্ক। জানতে চান, ‘টুইটারের প্রধান পদ থেকে কি আমি সরে দাঁড়াব?’
রোববার টুইটারে একটি পোল (ভোট) তৈরি করেন এলন মাস্ক। সেখানে জানতে চান, তার কি টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত। টুইটে মাস্ক বলেন, আমি কি টুইটারের প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়াব? এই পোলের যা ফলাফল আসবে, আমি তাই-ই মেনে নেব।
I will resign as CEO as soon as I find someone foolish enough to take the job! After that, I will just run the software & servers teams.
— Elon Musk (@elonmusk) December 21, 2022
উত্তরে অধিকাংশ ব্যবহারকারীই ভোট দিয়েছিলেন এলন মাস্কের টুইটারের সিইও পদ ছাড়ার পক্ষে। ব্যবহারকারীদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এলন মাস্ক জানালেন তিনি টুইটারের সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। তবে মাস্কের এই ঘোষণাতেও রয়েছে শর্ত। তার পরিবর্তে যোগ্য কাউকে টুইটারের সিইও হিসাবে খুঁজে পেলেই তিনি পদত্যাগ করবেন।
বুধবার এলন মাস্ক টুইট বলেন, যে মুহূর্তেই আমি এই দায়িত্ব নেয়ার মতো বোকা কাউকে পেয়ে যাব, তখনই টুইটারের সিইও পদ থেকে আমি পদত্যাগ করব! তারপরে আমি শুধু সফটওয়্যার ও সার্ভার টিম সামলাব।
এলন মাস্ক নিজেই জানিয়েছেন, বর্তমানে তার হাতে অনেক কাজ রয়েছে। তিনি টুইটারের সিইও পদে নিয়োগ করার জন্য কাউকে খুঁজছেন। তবে টেসলা কর্তার দাবি, এই দায়িত্ব কেউ নিতে চান না। তিনি বাদে কেউ টুইটারকে সচল রাখতে পারবে না। একাধিক ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তরেও তিনি বলেন, সিইও খোঁজাটা বড় বিষয় নয়, এমন সিইও যিনি টুইটারকে সচল রাখতে পারবেন, তাঁকে খুঁজে পাওয়াই কঠিন।
📌উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে মাস্কের এই ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, সাড়ে ১৭ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী ভোট দিয়েছেন। এরমধ্যে ৫৭.৫ শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারী মাস্ককে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে নেমে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বাকি ৪২.৫ শতাংশ ব্যবহারকারী মনে করেন টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদে এলন মাস্কেরই থাকা উচিৎ।
সূত্র: রয়টার্স
Facebook Comments