শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাংলায় বাজেট পেশ করা প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এর আগে ২০২১ সালে, তত্কালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ ছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বাজেট পেশ করেন। তৃতীয়বারের মতো রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এটিই প্রথম বাজেট। দুই কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর পাশাপাশি সামাজিক প্রকল্পে ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বিধানসভায় অবস্থিত মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এই বৈঠকে বাজেট অনুমোদন করা হয়। বাজেট পেশ করার আগে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটি একটি অভূতপূর্ব অনুভূতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি মহিলাদের সুরক্ষা এবং মানবতার জন্য ইতিহাস তৈরি করেন। এদিকে বাজেট পেশ করার সময় বিজেপি বিধায়করা হট্টগোল সৃষ্টি করেন এবং স্লোগান দেন। পরে তিনি বিধানসভার কার্যক্রম থেকে ওয়াকআউট করেন।”
বিধানসভা নির্বাচনের আগেও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার, পদ সরকার ইত্যাদির মতো অনেক কল্যাণী প্রকল্প শুরু করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মহিলাদের জন্য লক্ষ্মী ভান্ডার যোজনাও শুরু করেছে, যার অধীনে মহিলাদের মাসিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। বয়স্ক, ছাত্র এবং সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্যও অনেক প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে সেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে নতুন প্রকল্প চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো রাজ্যের বাজেট পেশ করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এএনআই-এর মতে, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যখন বাজেট পাঠ শুরু করেন, তখন বিজেপি বিধায়করা হট্টগোল শুরু করেন। বিজেপি বিধায়করা ক্রমাগত স্লোগান দেন এবং অনেক বিধায়কও মোদী লেখা টি-শার্ট পরেছিলেন। পরে কিছুক্ষণ হট্টগোল করার পর বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার কার্যক্রম থেকে ওয়াকআউট করেন। বিজেপি বিধায়করা জানিয়েছেন, রাজ্যের আসল চিত্র এই বাজেটে পেশ করা হয়নি। জঙ্গলমহল সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। যেখানে রাজ্য সরকারের অংশগ্রহণ আছে সেখানে রাজ্য সরকার কথা বলেছে, কিন্তু তা করেনি। এটা নিছকই রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর। এতে রাজ্যবাসীর কিছু নেই। কর্মচারী এবং চাকরি সৃষ্টির জন্য ডিএ-র কোনও উল্লেখ নেই। এ বাজেটে কোনও দিকনির্দেশনা নেই।
Facebook Comments